শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: গর্ভধারিণী মায়ের শেষ সম্বলটুকু ছিনিয়ে বেধড়ক মারধর দিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে টেনে হিঁচড়ে প্রয়াত স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দিল ‘গুণধর’ পুত্রসন্তান। এই অসহিষ্ণু আবহে শেষ পর্যন্ত সুবিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বাষট্টির বছরের নিঃস্ব বিধবা প্রৌঢ়া। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের গৌরী পঞ্চায়েতের অমৃতখন্ডের ইটাল গ্রামের ঘটনা।
সামান্য আশ্রয়ের খোঁজে ষাটোর্ধ্ব অসহায় প্রৌঢ়া স্নিগর্ধ্যা চক্রবর্তী রায়গঞ্জ থানায় পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়ে সুবিচারের আর্জি জানান। অভিযুক্ত পুত্র মহাদেব চক্রবর্তী এবং পুত্রবধূ রুপ্পা রায় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন মা স্নিগ্ধাদেবী।
[আরও পড়ুন: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠ পরীক্ষায় ‘না’, এসএসকেএম থেকে ফের খালি হাতে ফিরল ইডি]
এদিন বিকালে রায়গঞ্জ থানার ক্যাম্পাসে কাঁদতে কাঁদতে নির্যাতিতা বৃদ্ধা বলেন, “প্রায় তিন মাস ধরে আমার উপর অত্যাচার করছে একত্রিশ বছরের ছেলে ও বউমা। আমার জমানো দশ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে মারতে মারতে আজ বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছেলে। আমার স্বামীর বাড়ির এককোণে থাকার জন্য এত অনুরোধ করলাম, কিন্তু কোন কথাই শুনল না ছেলে ও বউমা। এখন আমি কোথায় থাকব?”
তবে অভিযুক্ত ছেলে মহাদেব চক্রবর্তী ফোনে বলেন, “আমাদের এটা পারিবারিক ব্যাপার। কোনও কিছু বলতে চাই না।” পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।