সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ছেলে অনন্ত আম্বানি (Ananta Ambani) এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির (Goutam Adani) ছেলে করণ আদানি (Karan Adani)। হিন্ডেনবার্গের চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপ নিয়ে বিতর্ক দানা বাধলেও গৌতমের আদানির ছেলেকে রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য করল একনাথ শিণ্ডে সরকার। পরিষদের নেতৃত্ব দেবেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। এই পরিষদের লক্ষ্য হবে মহারাষ্ট্রকে দেশের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করা।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা অধিকাংশই দেশের নামকরা শিল্পপতি। পাশাপাশি রয়েছেন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন এক অধিকর্তাও। এই বিষয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বক্তব্য, “EAC-র লক্ষ্য মহারাষ্ট্রকে ১ ট্রিলিয়ান ডলারের অর্থনীতি করে তোলা। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা কৃষি, ব্যাংকিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা চালাবেন।” এবং এই বিষয়গুলিতে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেবেন।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার সভায় বাম-কংগ্রেস জোটকে তুলোধনা শাহের, নাম নিলেন না তৃণমূলের]
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে যখন তোড়জোড় শুরু করেছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, একনাথ শিণ্ডেরা। সেই আদানি গ্রুপের সাম্প্রতিক বিতর্ক অস্বস্তিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আদানির শেয়ারে ধস নেমেছে বাজারে। ধনকুবের গৌতম আদানি ছিটকে গিয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ ধনীর তালিকা থেকে। দ্রুত কমেছে সম্পদের পরিমাণ। উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর সব সংস্থার শেয়ারেরই টালমাটাল পরিস্থিতি। আদানিদের (Adani Group) সর্ববৃহৎ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ তো বটেই, সেই সঙ্গে বাকিগুলির অবস্থাও তথৈবচ। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে। অভিযোগ, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট আসলে ভারতের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র।
[আরও পড়ুন: উড়ান ধরতে না পেরে বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার মহিলা যাত্রী]
প্রায় একই সুরে সোমবার টুইট করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ। নজফগড়ের সুলতানের টুইট করেছেন, গোরো সে ইন্ডিয়া কী তরক্কি বরদাস্ত নেহি হোতি। এই আক্রমণ ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যতই চেষ্টা করো ভারত আরও মজবুত হয়ে উঠে দাঁড়াবে। যদিও কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা আদানি ইস্যুতে মোদি সরকারকে চাপে ফেলছে। শতাব্দীপ্রাচীন দলটির অভিযোগ, মোদি সরকারের বদান্যতাতেই আদানির বিপুল বৃদ্ধি। এবার পতন। এই বিষয়ে প্রধনমন্ত্রী মোদি কিছু না বলায় কংগ্রেস নতুন সিরিজ শুরু করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’।