সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কষ্টের উপার্জনের কিছু অংশ দানের কথাও অনেকে ভাবতে পারেন না। আমেরিকা (USA) নিবাসী অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এই চিকিৎসক উমা দেবী গাভিনি (Uma Devi Gavini) জীবনের যাবতীয় উপার্জন ২০ কোটি টাকা দান করলেন জন্মভূমির হাসপাতালকে। বলা বাহুল্য অনুপ্রাণিত করলেন বহু মানুষকে।
অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার বাসিন্দা ডাঃ উমা দেবী গাভিনি। গুন্টুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Guntur Medical College) থেকে ১৯৬৫ সালে এমবিবিএস (MBBS) পাশ করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা চলে যান। সেখানেই থিতু হন। একজন ইমিউনোলজিস্ট (Immunologist) এবং অ্যাল্যার্জি বিশেষজ্ঞ (Allergy Specialist) হিসাবে সেদেশে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পরেও উমা দেবীর মাতৃভূমির প্রতি টান যে এক চুল কমেনি তা তাঁর সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হল।
[আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবার হিন্দিতে পড়ানো হবে ডাক্তারি, নতুন বই প্রকাশ করবেন অমিত শাহ]
উল্লেখ্য, গত মাসে আমেরিকার ডালাসে গুন্টুর মেডিক্যাল কলেজ অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন (GMCANA) ১৭তম পুনর্মিলন অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই তাঁর নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের কথা জানান ডাঃ উমা দেবী গাভিনি। তিনি জানান, কয়েক দশক আগে যে মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক হন, সেই মেডিক্যাল কলেজের একটি নির্মিয়মান হাসপাতালকে নিজের সারা জীবনের উপার্জন ২০ কোটি টাকা দান করবেন। গুন্টুর মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাসপাতাল (এমসিএইচ) তৈরির জন্য তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয় দেওয়ার কথা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জিএমসিএএনএ সভাপতি পদে ছিলেন উমা দেবী। এবার মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাসপাতালের জন্য ২০ কোটি টাকা দানের কথা জানানোর পর জিএমসিএএনএ-র তরফে তাঁর নামেই দেশের হাসাপাতালটি গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও তিনি সবিনয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তিন বছর আগে প্রয়াত তাঁর স্বামী ডাঃ কানুরি রামচন্দ্র রাওয়ের নামে হাসপাতালের নামকরণে রাজি হন।
[আরও পড়ুন: বাড়ির লোহার গেটে খোলা বিদ্যুতের তার, স্ত্রীকে হত্যার ছক স্বামীর! মরল শাশুড়ি]
রাজনৈতিক নেতার আক্ষেপ করে থাকেন, দেশের মেধা বিদেশে থিতু হয়। দেশের কোনও কাজে আসে না। উচ্চাখাঙ্খা ভুলিয়ে দেয় মাতৃভূমির প্রতি টান। এই বক্তব্যকে মিথ্যে প্রমাণিত করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃতি চিকিৎসক ডাঃ উমাদেবী গাভিনি।