সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম। রয়েছে ছোট দুই সন্তান। তাই সংসারের হাল ধরতে কাজের জন্য কুয়েতে গিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কবিতা। কিন্তু সেখানেই এখন তিনি মহাবিপদে রয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে আটকে রেখে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে খুনের হুমকি। তাই কুয়েত থেকে দ্রুত উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডির কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রের আন্নামায়া জেলার বাসিন্দা কবিতা। বাড়ির সকলের পেট চালাতে সম্প্রতি কাজ পেয়ে কুয়েতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কবিতা। যে সংস্থায় কাজ করেন, সেখানকার মালিকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ভিডিও পাঠিয়ে কবিতা জানান, "আমাকে একটি ঘরের ভিতরে আটকে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন আমাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। মারধর করা হচ্ছে। মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। এভাবে আমি আর বাঁচব না। আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এক সহকর্মীর সাহায্যে আমি এই ভিডিও করেছি।" মন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডির কাছে কাতর আর্জি জানিয়ে কবিতা বলেন, “দয়া করে আমাকে বাঁচান স্যার। কুয়েত থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।"
কবিতার এই ভিডিওবার্তা পেয়েছেন মন্ত্রী রামপ্রসাদ। ইতিমধ্যেই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোন্ডাপল্লি শ্রীনিবাসকে কবিতার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁকে ওই পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও করেছেন রামপ্রসাদ। জীবিকার খোঁজে প্রত্যেক বছর কুয়েতের মতো মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে যান বহু ভারতীয়। কিন্তু সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। চলতি বছরের জুন মাসে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটির দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি আবাসনে বিধংসী আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান গ্রাসে পুড়ে মৃত্যু হয় ৪৫ জন ভারতীয়র।