shono
Advertisement

Breaking News

প্রার্থী-ক্ষোভের আগুন গুজরাট কংগ্রেসে, প্রদেশ দপ্তরে ভাঙচুর চালাল একদল কর্মী

বিক্ষোভ সামাল দিতে চার হেভিওয়েট নেতাকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব।
Posted: 01:50 PM Nov 15, 2022Updated: 01:50 PM Nov 15, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি : বিজেপির (BJP) পর কংগ্রেস (Congress)। প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই ক্ষোভের আগুনে পুড়ছিল গুজরাটের (Gujarat) গেরুয়া শিবির। এবার আগুন লাগল কংগ্রসের অন্দরে। এমনকী, সোমবার ক্ষোভে প্রদেশ দপ্তরের ভাঙচুর চালাল একদল কংগ্রেস কর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেরুয়া শিবির একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে আমেদাবাদে পাঠিয়েছিল। একই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। জোনভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি লোকসভাভিত্তিক একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল এআইসিসি। রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের অবস্থা দেখে উৎফুল্ল আম আদমি পার্টি (AAP)।

Advertisement

কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতেই গোষ্ঠীকোন্দল কার্যত রাস্তায় নেমে এসেছে। এদিন কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী আমেদাবাদে পার্টির সদর দপ্তরে হামলা চালায়। প্রদেশ সভাপতি ভরতসিংহ সোলাঙ্কির পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। দপ্তরে ঢুকে তাঁর নামাঙ্কিত নেমপ্লেট খুলে নেওয়া হয়। শহরের জামালপুর-খাদিয়া আসন থেকে বর্তমান বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালাকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রদেশ কার্যালয়ে ভাঙচুরও চালায় তারা। আসনটি বিজেপিকে পাইয়ে দিতেই খেদাওয়ালাকে ফের প্রার্থী করা হয়েছে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

[আরও পড়ুন: ঔপনিবেশিক ধারণা থেকে বেরতে হবে বিচার বিভাগকে, বদলের পক্ষে সওয়াল প্রধান বিচারপতির]

পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যের ভোটে একজনের বেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে না কংগ্রেস। কিন্তু গুজরাট বলে কথা।তাই বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার  পাশাপাশি ভোটের প্রচার ও এলাকাভিত্তিক রণকৌশল ঠিক করতে রাজ্যের চারটি জোনে চার হেভিওয়েট নেতাকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিল কংগ্রেস। দক্ষিণে মুকুল ওয়াসনিক, সৌরাষ্ট্রে মোহন প্রকাশ, মধ্য জোনে পৃথ্বীরাজ চৌহান ও উত্তর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বি কে হরিপ্রসাদকে। এছাড়াও রাজে্যর ৩২টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে এআইসিসি।

[আরও পড়ুন: ‘যোনিচ্ছেদ প্রথা বন্ধ করুন’, ভারতকে মানবাধিকার তোপ কোস্টারিকার]

প্রসঙ্গত, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই গুজরাট (Gujarat) বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ কার্যত বিদ্রোহে পরিণত হয়েছে। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছেন একাধিক প্রাক্তন বিধায়ক। বিদ্রোহ সামাল দিতে সক্রিয় হতে হয়েছে অমিত শাহ (Amit Shah) ও জে পি নাড্ডাদের (JP Nadda)। আমেদাবাদ ছুটে যেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতাদের। মূলত নতুন মুখ, দলবদল করে আসা কংগ্রেস (Congress) ও নির্দলদের প্রার্থী করতে গিয়ে ৩৮ জন বিধায়ককে বাদ দেন মোদি-শাহরা। তাতেই বিপত্তি। বিদ্রোহ সামাল দিতে না পারলে এর প্রতিফলন ভোটবাক্সে পড়া নিশ্চিতই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement