সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুরে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বরাবর এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসেছিলেন তারকাপ্রার্থীরা। ২০০৯ সালে সাংসদ ছিলেন কবীর সুমন। এর পর ২০১৯ সালের লোকসভায় বিপুল ভোটে জিতে সাংসদ হলেন মিমি চক্রবর্তী। সেই তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবেই। আর এবার এই 'প্রেস্টিজিয়াস' আসনে লড়াই করে জয় পেলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তৃণমূলের ভাবী সাংসদকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরা। বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এবং বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়দের টেক্কা দিয়ে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা রেখেছেন তৃণমূলের 'বাজিগর' সায়নী ঘোষ। আর সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে নিয়ে বন্ধু সহকর্মীদের উল্লাসের অন্ত নেই।
'হার কে জিতনে ওয়ালো কো বাজিগর কেহেতে হ্যায়...' কম-বেশী অনেকেই আমরা এই সংলাপের সঙ্গে পরিচিত। সায়নী ঘোষের ক্ষেত্রে এই কথাটা একেবারে প্রযোজ্য। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট পেয়ে আসানসোলে র মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। আদা-জল খেয়ে ময়দানে উদয়াস্ত পরিশ্রম করলেও জিত তাঁর কাছে ধরা দেয়নি সেবার! কিন্তু তাতে কি? থেমে থাকেননি সায়নী। রাজনীতির ময়দানে তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যুবনেত্রীর পদে বসান। এবার লোকসভায় যাদবপুরের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থীপদ দিয়েছেন। আর এবার জিতে সেই ভরসাই রাখলেন সায়নী। সেই 'বাজিগর' সায়নীকে আদুরে চুম্বনে ভরিয়ে দেওয়ার ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। পালটা ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। সেই পোস্টেই লিখেছেন- "অনেক ধন্যবাদ, পরম পাওনা।"
তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ছবি সৌজন্যে: সোশাল মিডিয়া
[আরও পড়ুন: ‘রামের নামে পাপ! ঈশ্বর আছে’, অযোধ্যায় বিজেপি ‘গো হারা’ হারতেই বিস্ফোরক স্বরা]
ওদিকে বামপন্থী অনীক দত্তও (Anik Dutta) তাঁর 'অপরাজিত' অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই জয়ের জন্য। অনীক পরিচালিত 'অপরাজিত' ছবিতে সত্যজিৎপত্নী বিজয়া রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সায়নী। যাদবপুর থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তাঁর জয় নিয়ে অনীকের মন্তব্য, "ওঁর দলকে সমর্থন করতে পারব না ঠিকই, কিন্তু সায়নীকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি সবসময়ে সৃজনের হয়েই প্রচার করব, বামেদেরকেই সমর্থন করব। সায়নী প্রকৃত ভালো অভিনেত্রী বলে আমার ছবিতে ওঁকে নিয়েছি।"
লোকসভা ভোটের ময়দান এক অন্য সায়নী ঘোষকে দেখেছে। যিনি এবার রাজনৈতিক ইনিংসে আরও পরিণত। অনুরাগীদের কথায়, মিটিং-মিছিলে তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ তো বটেই, এমনকী বেশভূষাতেও দলনেত্রীর সঙ্গে মিল রয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন যাদবপুরে, তবুও মন খারাপ তাঁর। আজ এই আনন্দের দিনে প্রয়াত মা এবং দাদাকে খুব মিস করছেন।