স্টাফ রিপোর্টার : ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) রাজধানী রায়পুরে (Raipur) আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক। সংঘ আদর্শে অনুপ্রাণিত মোট ৩৬টি সংগঠনের এই বার্ষিক বৈঠকে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat), সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে ছাড়াও উপস্থিত থাকছেন সংঘের পাঁচ সহ সরকার্যবাহ ও শীর্ষ পদাধিকারীরা। থাকবেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষও। সংঘ সূত্রে খবর, তিন দিনের এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্যসূচি জাতীয় নিরাপত্তা, দেশে অতি বাম রাজনৈতিক তৎপরতা, সংঘের শাখাবিস্তারের মতো বিষয়গুলি।
আগামী ২০২৫ সালে শতবর্ষ পূর্ণ করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তার আগের বছর গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা বিলোপ, তিন তালাক প্রথা রদ, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্বাণের মতো সংঘের দীর্ঘদিনের ঘোষিত একাধিক কর্মসূচি সমাপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নাগরিকত্ব আইন লাগু, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা রয়েছে নাগপুরের। যে কারণে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন গেরুয়া শিবিরের কাছে রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: বিদেশিনীর সামনে হস্তমৈথুন ক্যাব চালকের! তৎক্ষণাৎ বিমানের টিকিট কেটে ভারত ছাড়লেন মহিলা]
তার আগে রায়পুরে অনুষ্ঠেয় অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি সংঘ ঘনিষ্ঠ মহলের। সংঘের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ‘‘দেশজুড়ে সারা বছর সংঘের যে কার্যক্রম চলে, তাতে একটা বড় ভূমিকা এই সংঘ ভাবধারায় অনুপ্রাণিত এবং সংঘ স্বীকৃত সংগঠনগুলির। সংঘের বিভিন্ন বিচারধারা ও কর্মসূচি নিয়ে লাগাতার প্রচারের সাহায্যে জনমত গঠন ও সংঘ সংস্কৃতির প্রসারে চিরকালই বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে এই সংগঠনগুলি। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪-এর গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা ভোটের আগের বছর কোন পথে ও পদ্ধতিতে এগোনো হবে, তা স্থির করতে ১০ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রায়পুরে হতে চলা বৈঠকের গুরুত্ব গেরুয়া শিবিরের কাছে রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ।’’
সংঘের এই পদাধিকারী জানাচ্ছেন, ‘‘এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে ৫৫ হাজার শাখা চলছে আমাদের। শতবর্ষের আগে ২০২৪-এর মধ্যে এই সংখ্যাটা এক লক্ষে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচন হবে রায়পুরে। পাশাপাশি নতুন শিক্ষাব্যবস্থা ও নয়া পাঠক্রম চালু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কথা হবে স্বদেশি ভাবধারা প্রসারে স্বাবলম্বী ভারত অভিযান নিয়েও।’’
[আরও পড়ুন: লখনউয়ের অভিজাত হোটেলে বিধ্বংসী আগুন, একধিক আবাসিকের ঝলসে মৃত্যুর আশঙ্কা]
বৈঠকে উপস্থিতির তালিকা বেশ নজরকাড়া। থাকছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অলোক কুমার ও মিলিন্দ পারন্দে, এবিভিপি-র আশিস চৌহান ও নিধি ত্রিপাঠী, ভারতীয় কিষাণ সংঘের দীনেশ কুলকার্নি, বিদ্যা ভারতীর রামকৃষ্ণ রাও ও গোবিন্দ মহান্তি, ভারতীয় মজদুর সংঘের হিরণ্ময় পান্ডা ও বি সুরেন্দ্রন, রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির শান্তাক্কা এবং অন্নদানম সীতাক্কা, বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের রামচন্দ্র খারদি ও অতুল জোগ প্রমুখ।