সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। শনিবার সিন্ধু বাদিন প্রদেশে একটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারকর্মী অনিলা গুলজার। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুসারে, সিন্ধু প্রদেশে ৪২৮টি মন্দিরের মধ্যে মাত্র ২০টি আর অবশিষ্ট রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাদিন সিন্ধু প্রদেশের কারিও ঘানোয়ারের রাম মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপরই বিশ্বজুড়ে পাকিস্তান সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় পাকিস্তানে হিন্দুদের পরিস্থিতির স্বরূপ প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ একাধিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে। এমনকী, হিন্দু মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে।
[আরও পড়ুন : থাইল্যান্ডে যাত্রীবোঝাই বাসে ধাক্কা ট্রেনের, মৃত কমপক্ষে ১৮]
ফেসবুক পোস্টে অনিলা গুলজার বলেন, “বাদিন সিন্ধু প্রদেশে রামমন্দির ভাঙার মতো নৃশসং কাজের তীব্র নিন্দা করছি। এরপর আর মাত্র ২০টি মন্দির অবশিষ্ট রইল।” সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই প্রথম নয়, সিন্দু প্রদেশে একাধিকবার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের খবর সামনে এসেছে। কখনও জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছে। তো কখনও হিন্দু, খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কখনও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। গত মে মাসেও এক মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছিল। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভাওয়ালপুরের এক ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গিয়েছিল, হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে পাকিস্তান প্রশাসন।
কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় তারই প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। করাচির লিয়ারি জেলায় স্বাধীনতার আগে থেকে থাকা একটি হনুমান মন্দির (Hanuman Temple) বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছিল এক প্রোমোটার। শুধু তাই নয়, ওই মন্দিরের আশপাশে থাকা ২০টি হিন্দু পরিবারের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।