সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় মহিলা খুনের বিষয় পুনর্নিমাণ করতে গিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক সাফাইকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ তবে সে একা নয়৷ সঙ্গে ছিল আরও একজন৷ সেই নাবালককেও গ্রেপ্তার করা হল৷
[ শরীরের বাইরে হৃৎপিণ্ড নিয়ে জন্ম, বাঁচানো গেল না মেদিনীপুরের বিরল শিশুকে ]
কসবার টোগের পার্কের অভিজাত এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হয়ে যান শীলা চৌধুরী৷ প্রাক্তন সরকারী আধিকারিকের হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ জেরার মুখে অভিযুক্ত সাফাইকর্মী শম্ভু কয়াল অবশ্য জানায়, অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মীই তার থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন৷ বাড়ির কাউকে না জানিয়েই ২৭ হাজার টাকা দিয়েছিল সে৷ কিন্তু সময়ে ফেরত দেননি শীলাদেবী৷ তা নিয়েই বচসা বাধে৷ বচসার জেরেই শীলাদেবীর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয় সে৷ পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে৷ শম্ভুকে জেরা করে এ তথ্যই পেয়েছিল পুলিশ৷ পুরো ঘটনাটিকে দুর্ঘটনার আঙ্গিক দেওয়ারও চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা৷ তবে প্রাথমিক জেরা পর্বেও পুলিশকে বিভ্রান্তই করেছিল শম্ভু৷
[ বাজ পড়ে এসি থেকে ছড়াল ভয়াবহ আগুন, একডালিয়ায় আতঙ্ক ]
তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে গোয়েন্দাদের চোখে৷ ফের জেরা শুরু হয়৷ শেষমেশ জানা যায়, আসলে শীলাদেবীর বাড়ি থেকে লুটের ছক ছিল অভিযুক্ত শম্ভুর৷ সে একা ছিল না৷ দোসর ছিল এক নাবালক৷ তাকে সিঁড়িতে দাঁড় করিয়ে রেখেই শীলাদেবীর ঘরে ঢুকেছিল শম্ভু৷ এমনিতে সল্টলেকে আত্মীয়ার বাড়িতেই থাকতেন তিনি৷ সপ্তাহান্তে আসতেন কসবার ফ্ল্যাটে৷ শীলাদেবী একা থাকতেন বুঝেই তাকে খুনের ছক কষেছিল শম্ভু৷ শীলাদেবীর চোখের আড়ালে ওই নাবালককে ঘরে ঢুকিয়ে দেয় সে৷ ছেলেটি খাঠের তলায় লুকিয়ে ছিল৷ শীলাদেবীর পা ধরে ফেলে দেওয়ার কাজ ছিল তার৷ পরে আসল কাজটি করে শম্ভু৷ রীতিমতো ঘাগু দুষ্কৃতীদের মতো পরিকল্পনা করেই সে শীলাদেবীকে খুন করে৷ রবিবারই শম্ভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ তার সঙ্গী ওই নাবালিকাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
The post টাকা লুট করতেই মহিলাকে খুন, কসবা কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক appeared first on Sangbad Pratidin.