shono
Advertisement
Madhyamik

মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, ছিল না গৃহশিক্ষক, কেমন ছিল পুষ্পিতার লড়াই?

পুষ্পিতার ভরসা বাবা-মা ও স্কুল।
Posted: 10:10 PM May 02, 2024Updated: 11:13 AM May 03, 2024

দেব গোস্বামী, বোলপুর: প্রকাশিত এবছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। এবারের মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন মোট ৫৭ জন পড়ুয়া। প্রায় সবাই গৃহশিক্ষকের সাহায্য নিয়েছে। ব্যতিক্রম তৃতীয় স্থান অধিকারী পুষ্পিতা বাঁশুড়ি। একজনও গৃহশিক্ষক ছিল না তার। পুষ্পিতা আবারও প্রমাণ করল শেষ কথা মেধা।

Advertisement

বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পিতা। মা তনুশ্রী ঘোষ বাঁশুড়ি বাংলার পার্শ্বশিক্ষক। বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুড়ি গৃহশিক্ষক। অভাবের সংসারে রাখা হয়নি গৃহশিক্ষক। ভরসা ছিল বাবা-মা ও স্কুল। ইলামবাজারে নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা। পুষ্পিতার এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর আত্মীয়-স্বজন গ্রামের বাসিন্দারা। নজরকাড়া ফল করলেও আর্থিক অনটন ভাবাচ্ছে পরিবারকে।

মা তনুশ্রী ঘোষ বাঁশুড়ি বলেন,"মেয়ে পড়াশোনা নিয়েই থাকত। গুগলে সার্চ করে ও অন্যান্য বইয়ের সহযোগিতায় নিজের নোট নিজেই তৈরি করত। বিনা পয়সার স্কুলে পড়াশোনা। তা না হলে এই সাফল্য সম্ভব হত না ।" বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুড়ি বলেন, " প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর জেদকে সম্বল করেই যাবতীয় প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলেছে মেয়ে। পুষ্পিতার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সকলেই।" পুষ্পিতার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপ গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই সাফল্য সহজ ছিল না। স্কুলের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল মিলেছে। আমাদের আশা পূর্ণ করেছে পুষ্পিতা।"

[আরও পড়ুন: ক্যানসারে পিতৃবিয়োগ, মেধাতালিকায় দশম স্থান ছিনিয়ে বাবার শেষ ইচ্ছাপূরণ ছেলের]

নিজের সাফল্যতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পুষ্পিতা। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার (Engineer) হতে চায় সে। পুষ্পিতার কথায়, "খুব ভালো লাগছে এই সাফল্যে। তৃতীয় হব এটা ভাবতে পারিনি। আমার সাফল্যর নেপথ্যে আমার মা-বাবা। স্কুলের শিক্ষকদের অবদান রয়েছে অনেকটাই। আমি প্রতিদিনই স্কুলে যেতাম। আর স্কুলের সময় বাদ দিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করার চেষ্টা করতাম। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।"

[আরও পড়ুন: বঙ্গে অব্যাহত তাপপ্রবাহ, কবে নামবে বৃষ্টি? কী জানাল আবহাওয়া দপ্তর?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বীরভূমের ইলামবাজার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পিতা। মা তনুশ্রী ঘোষ বাঁশুড়ি বাংলার পার্শ্বশিক্ষক। বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুড়ি গৃহশিক্ষক। অভাবের সংসারে রাখা হয়নি গৃহশিক্ষক।
  • রাজ্যে তৃতীয় স্থানের সঙ্গে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন পুষ্পিতা।
  • আগামীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে।
Advertisement