সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: তিহাড় জেল থেকে আসানসোলের জেলে পাঠানোর আরজির কী হল? জামিনের আরজিরই বা কী হল? সোমবার তিহাড়ে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়ার পর আইনজীবীদের কাছে খানিক করুণ সুরেই জানতে চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সদুত্তর কিছু পাননি। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অনুব্রতর আইনজীবীরা তাঁকে স্বস্তি দিতে সচেষ্ট হলেন।
সূত্রের খবর, ফের দিল্লি হাই কোর্টে বীরভূম জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতির জামিনের আরজি জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মুদিত জৈন (Mudit Jain) এবং সম্পৃক্তা ঘোষাল। সেই সঙ্গে অনুব্রতকে আসানসোলে ফেরানোর আরজির যাতে দ্রুত শুনানি হয়, সেই আবেদনও করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। আগামী ৮ মে আই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। সেটা এগিয়ে আনার দাবিতে নয়া আরজি জমা পড়েছে দিল্লি হাই কোর্টে। এই দুটি বিষয়ই আগামী শুক্রবার আদালতে তোলা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘আজ বিলকিসের সঙ্গে হয়েছে, কাল আরেকজনের সঙ্গে হবে’, ফের গুজরাটকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেপ্তারির পরই আধিকারিকরা পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পান। বিপুল সম্পত্তির উৎসের খোঁজে নামে ইডি। সেই অনুযায়ী তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের পর বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। প্রায় মাসখানেক সেখানেই রয়েছেন। আরও অন্তত সপ্তাহ দুয়েক সেখানেই থাকতে হবে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে জীবন কাণ্ডের ছায়া! প্রমাণে লোপাটে নদীতে মোবাইল, ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার করল CBI]
শোনা যাচ্ছিল, সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলবের প্রতিবাদে হাই কোর্টে আবেদন জানাতে চলেছেন তাঁর আইনজীবীরা। সিবিআইয়ের যদি জিজ্ঞাসাবাদ করারই হয়, তাহলে কলকাতায় করা যেতে পারে। এই দাবিতে আবেদন করার পরিকল্পনা চলছিল অনুব্রত শিবিরে। তবে আপাতত সে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। আপাতত আইনজীবীরে চেষ্টা করছেন অনুব্রতকে স্বস্তি দিতে।