সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তলব পেয়েছিলেন সোমবার। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে সিবিআইকে চিঠি পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) জানালেন, তিনি আজই হাজিরা দিতে পারছেন না। পরে সুস্থ হলে সিবিআই কর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই (CBI) নোটিস পাঠানোর পর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভোট প্রক্রিয়া না মিটলে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। নেত্রীর সেই আদেশ শিরোধার্য করেই এদিন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা এড়ালেন ‘কেষ্ট’, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই-কে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। তাই এদিন কলকাতায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিতে পারবেন না। পরে তিনি যাবেন। পাশাপাশি, তাঁর এক সহযোগীকেও তলব করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তিনিও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত। সুরক্ষার স্বার্থে তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। তাই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: আচমকাই বন্ধ সীমান্ত, দেশে ফিরতে না পেরে পেট্রাপোলে বিক্ষোভ বাংলাদেশি যাত্রীদের]
২৯ এপ্রিল অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফায় বীরভূমের ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার আগে, সোমবার জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতাকে গরু পাচার মামলায় সিবিআই সমন পাঠানোর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকার অভিযোগ উঠেছিল। উল্লেখ্য, দীর্ঘ তদন্তের পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে গরু পাচার কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। অভিযোগপত্রে চক্রের মূল পাণ্ডা এনামুল হক, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার, গুলাম মুস্তফা ও আনারুল শেখ-সহ সাতজনের নাম ছিল। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আবহে গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত রাঘব বোয়ালদের জালে আনতে তৎপর সিবিআই। দুই পাচারের অন্যতম মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচির বুথে ফের ভোট কবে? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন]
এবার তাঁদের স্ক্যানারে বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। তবে এই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রতর উদ্দেশে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ”আমি বলে দিয়েছি, একদম যাবি না। ইলেকশন প্রসেস ওভার হবে তারপর যাবি।” এখন দেখার, নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তিনি সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন কি না।