শেখর চন্দ ও নন্দন দত্ত: পুলিশ হেফাজতে রয়েছন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সেই কারণে গরুপাচার মামলায় আসানসোল আদালতে পেশ করা হল না তাঁকে। বিচারক ও অনুব্রতর আইনজীবীও না থাকায় জমা পড়ল না কেস ডায়েরিও।
পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার গরুপাচার অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগারের তরফে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জানানো হয়, দুবরাজপুরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। ফলে তাঁকে হাজির করানো সম্ভব নয়। এদিকে সিবিআই আদালতের বিচারক রয়েছেন ছুটিতে। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীও এদিন আদালতে হাজিরা দেননি। শুধু আই ও অর্থাৎ তদন্তকারী অফিসার ও সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে হাজির হয়েছিলেন, ফলে কেস ডায়েরিও জমা পড়েনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ জানুয়ারি।
[আরও পড়ুন: জিতেন্দ্রপত্নীর ফ্ল্যাটে তালা, জেরা করতে গিয়ে পরপর দু’বার খালি হাতে ফিরল পুলিশ]
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ঠিক কী মামলা চলছে, তা জানতে চেয়ে এদিন দুবরাজপুর আদালতে সার্টিফায়েড কপি চাইল ইডি। কিন্তু তা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। আইনজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, থার্ড পার্টি হিসেবে ইডি কখনওই এই কপি চাইতে পারে না। বিষয়টা ইডির এক্তিয়ার বহির্ভূত।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে জেরার আবেদন জানিয়েছিল। অনুমতি মিললেও শেষে দুরবাজপুরে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রতকে। ফলে তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যায়নি।