শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। গ্রেপ্তারির পর থেকে বদলে গিয়েছে সবকিছু। আগের সেই ব্যস্ততা এখন আর নেই। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারই এখন ঠিকানা তাঁর। ভাইফোঁটাতেও একাকীত্বই সঙ্গী অনুব্রতর। সূত্রের খবর, কেউ ফোঁটা দেননি তাঁকে। নিরামিশ খাবার খেয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’।
প্রতিবছর কালীপুজোয় আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের মেনুতে থাকে ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস ও মিষ্টি। ওইদিন অনেকেই উপবাস করেন। বিশেষত সংশোধনাগারের সিংহভাগ মহিলা বন্দিই হয় উপবাস করেন। নয়তো নিরামিষ খাবার খান। সূত্রের খবর, সে কারণে ওইদিন সংশোধনাগারের মহিলা বন্দিরা মেনু বদলের আরজি করেন। সেই অনুযায়ী সেদিনের খাদ্যতালিকা বদল করা হয়। ভাইফোঁটার দিন প্রত্যেক বন্দির জন্য মধ্যাহ্নভোজের মেনু হিসাবে ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস ও মিষ্টি রাখা হয়।
[আরও পড়ুন: শাসানির পর ঝড়খালিতে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক ‘মার’, ফাটল পাকস্থলী]
জেল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস দুপুরে খাননি। পরিবর্তে নিরামিষ খাবার খান। ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে পনির খান তিনি। ফিসচুলার সমস্যার কথা মাথায় রেখে মাংস খেতে চাননি বলেই সূত্রের খবর। জেলের বেশ কয়েকজন বন্দি ভাইফোঁটা পালন করেন। তবে অনুব্রতকে ফোঁটা দেননি কেউই। ভাইফোঁটায় একা একাই দিন কেটে যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির।
উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতেই রয়েছেন তিনি। তার নামে ও বেনামে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতর পাশাপাশি তাঁর মেয়ে সুকন্যাও তদন্তকারীদের নজরে। তাঁর নামে থাকা বিপুল সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের জালে গ্রেপ্তারির পর থেকে বড্ড একা অনুব্রত। গত ২ মাসে প্রায় দশ কেজি ওজন কমে গিয়েছে তাঁর।