নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ইডি’র তলবে দিল্লিতে গরহাজির অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বন্ধুর মায়ের চিকিৎসার চলার ফলে বর্তমানে বাংলার বাইরে রয়েছেন তিনি। আর সে কারণেই দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে।
গত আগস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। গ্রেপ্তারির পর নামে বেনামে থাকা তাঁর সম্পত্তি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত তদন্তকারীরা। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে প্রায় পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুকন্যা মণ্ডলের চারটি সংস্থার ‘অস্বাভাবিক’ আয় বৃদ্ধির উপর নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস-এর আয় বৃদ্ধি নিয়ে সিবিআই নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: বদলাচ্ছে সময়, ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় ভাইদের পাশাপাশি কলকাতায় ছকভাঙা ‘বোনফোঁটা’র হিড়িক]
সিবিআই দেখেছে, ২০১৩-১৪ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বার্ষিক আয় ছিল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭ টাকা। পরের বছর থেকেই এই আয় বৃদ্ধি হতে শুরু করে। ২০২১-২২ সালে সেই আয় বেড়ে হয় ১ কোটি ১ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৪ টাকা। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের আয় গত ২০১৩-১৪ সালে ছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৩৯৯ টাকা। ২০২১-২২ সালে ওই আয় বেড়ে হয় ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা। সুকন্যার মা প্রয়াত ছবি মণ্ডলের আয় ২০১৩-১৪ সালে যেখানে ছিল ৪ লক্ষ ৪৫ হজার ২৬০ টাকা। সেখানে ২০২০-২১ সালে ওই আয় গিয়ে দাঁড়ায় ৬১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৭০ টাকা।
মণ্ডল পরিবারের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে সুকন্যাকে তলব করে ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে হাজিরা দেননি অনুব্রতকন্যা। সূত্রের খবর, চিঠি দিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন হাজিরা দিতে না পারার কথা। যুক্তি হিসাবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে তাঁর এক বন্ধুর মা ক্যানসার আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসা চলছে চেন্নাইতে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে দিল্লি ইডি দপ্তরে যাওয়া সম্ভব নয়।