রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও শেখর চন্দ্র: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির (BJP) অন্তর্দ্বন্দ্ব। পুরভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে এবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। টুইটারে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।
কলকাতা বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় বারবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে কলকাতা পুরভোটে বিপর্যয়। একের পর এক নেতা-কর্মীদের দলবদল। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসেই রাজ্যের ৪ পুরনিগমে নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও প্রার্থী বাছাই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। আসানসোলের এক প্রার্থী তো মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে দল বদল করেছেন। আর এই ঘটনাতেই রাজ্য বিজেপির উপর বেজায় চটেছেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, দামি উপহারের টোপ, কলকাতায় বসেই প্রতারণা মহিলার]
টুইটারে তিনি লিখেছেন, “কে যে প্রার্থী বাছাই করে!!!??? আর কিসের ভিত্তিতে যে প্রার্থী বাছাই করা হয়, ভগবান জানে!!!” দলের এধরনের সিদ্ধান্তে তিনি অত্যন্ত ‘বিরক্ত’ এবং ‘লজ্জিত’ বলেও উল্লেখ করেছেন ওই পোস্টে। তাঁর এহেন পোস্টে রাজ্য বিজেপির বিড়ম্বনা যে আরও বাড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই প্রথমবার নয়। ইতিপূর্বে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। গত বছর অক্টোবরে তিনি বলেন, “তৃণমূল থেকে আসা সুযোগসন্ধানী নেতাদের নিয়ে আমরা মাতামাতি করেছি। পুরনোদের ভুলে গিয়েছি। এটা ভুল ছিল আমাদের।” তিনি এও বলেন, “ভোট মিটেছে। এখন ভুলত্রুটি নিয়ে বিচার করা, আলোচনা করার সময়।”
প্রসঙ্গত, সোমবার মনোনয়ন জমার শেষদিনে সব প্রার্থী যখন ব্যস্ত, ঠিক তখনই মনোনয়ন কেন্দ্রে না গিয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায় গোপনে পৌঁছে যান মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। বিকেলের পরে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা এবারের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সি কে রেশমার সঙ্গে মন্ত্রীর বাড়ি পৌঁছন তিনি। সেখানেই পিন্টুর হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, দামি উপহারের টোপ, কলকাতায় বসেই প্রতারণা মহিলার]
দলবদল করেই পিন্টু জানান, “কোনও চাপ নয়। উন্নয়ন দেখেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।” যদিও বিজেপির দাবি, যে পিন্টু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তিনি তাঁদের প্রার্থী পিন্টু নন। তবে বিজেপির পিন্টু কোথায় গেলেন? তাঁকে সামনে আনতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অনুপম হাজরা।