সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতকে বদনাম করার চেষ্টা! ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের চেয়ারম্যান এ জি শুলজবার্গারের। কড়া জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ওটা ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ নাকি ‘নিউ ডিসটর্ট টাইমস’, প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
ইউনেস্কোর (UNESCO) মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিন দুই আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের (New York Times) চেয়ারম্যান শুলজবার্গার বলেছিলেন, “ভারতে সরকারি এজেন্সিগুলি নিউজরুমে পর্যন্ত হানা দিয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করেছে।” আসলে কিছুদিন আগে বিবিসি ইন্ডিয়ার (BBC India) একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়েই আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতকে বিঁধতে চেয়েছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের চেয়ারম্যান।
[আরও পড়ুন: ‘বাবা বললেই চেকবুকে সই’, সব দায় অনুব্রতর ঘাড়ে ঠেললেন সুকন্যা! ইডির চার্জশিটে চাঞ্চল্য]
যার যোগ্য জবাব দিল ভারত সরকারও। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলে দিলেন, ‘ভারতে আইন আইনের পথে চলে। সংবাদমাধ্যম বলে কেউ অন্যায় করে ছাড় পাবে না। কোনও নিয়মভঙ্গ হলে সংবাদমাধ্যমকে শাস্তি পেতেই হবে। স্রেফ সংবাদমাধ্যম হওয়াটা কাউকে নিয়ম ভাঙার অনুমতি দেয় না।’ তাঁর প্রশ্ন,”এভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করা হয় বলে দেওয়াটা কি আদৌ বুদ্ধিমানের পরিচয়?”
[আরও পড়ুন: শিমলা পুরনিগমের নির্বাচনে বড় জয় কংগ্রেসের, ‘এবার কর্ণাটকের পালা’, বলছেন রাহুল গান্ধী]
অনুরাগের (Anurag Thakur) দাবি, “বিশ্বমঞ্চে ভারতের আর্থিক সুপারপাওয়ার হয়ে ওঠাটা মেনে নিতে না পেরে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপপ্রচারমূলক সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। আর নিউ ইয়র্ক টাইমস ধারাবাহিকভাবে ভারত বিরোধী অপপ্রচার করে নিজেদের কলঙ্কিত করছে।” এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কটাক্ষ, “এটা ওটা ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ নাকি ‘নিউ ডিসটর্ট (বিভ্রান্তিকর) টাইমস’?”