সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কি রক্ষণ রোগের দাওয়াই পেয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত? অন্তত সেন্টার ব্যাকের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছিল, সেই সমস্যা মিটতে পারে। কারণ, সব ঠিক থাকলে রবিবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেই ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে নেমে পড়ছেন আনোয়ার আলি।
মরশুমের শুরুটা ভালো হয়নি। পরপর তিন প্রতিযোগিতার তিন ম্যাচে হেরেছে দল। প্রতিক্ষেত্রেই হারের কারণ হিসাবে উঠে আসছে রক্ষণের দুর্বলতার কথা। আসলে একের পর এক ডিফেন্ডারের চোট দলের রক্ষণ সাজানোর ক্ষেত্রে চাপ বাড়াচ্ছে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। রবিবারের কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচও ব্যতিক্রম নয়।
শুক্রবার সকালের বিমানে যে ম্যাচ খেলতে কোচি গেল দল। যদিও চোট পুরোপুরি না সারায় নিশু কুমার ও প্রভাব লাকড়া দলের সঙ্গে যাননি। আরও এক সাইড ব্যাক মহম্মদ রাকিপ গিয়েছেন বটে। তবে তিনি আদৌ খেলতে পারবেন কি না স্পষ্ট নয়। কারণ বৃহস্পতিবার ওয়ার্ম আপের পরই মাঠ ছেড়ে চলে যান তিনি। তাঁর বিকল্প হিসাবে গুরসিমরত সিং গিলকে তৈরি রাখা হয়েছে। তবে তার মধ্যেও রক্ষণ নিয়ে স্বস্তির হাওয়া লাল-হলুদ শিবিরে। আর সেই স্বস্তির নাম আনোয়ার আলি। একদিন আগেই ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলতে বাধা নেই এই তরুণ ডিফেন্ডারের। তিনিও দলের সঙ্গে কোচি গিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে অভিষেকও করবেন।
ডুরান্ডের সময় থেকেই ইস্টবেঙ্গলে অনুশীলন করে চলেছেন আনোয়ার। যদিও ওই প্রতিযোগিতা কিংবা আইএসএলের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের স্কোয়াডে তাঁকে রাখেননি কোচ। তবে খেলার নিশ্চয়তা না থাকলেও দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। অনুশীলনে নিজেদের মধ্যে দু’টো দল করে সিচুয়েশন প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রেও আনোয়ারকে রাখা হত রিজার্ভ বেঞ্চে থাকতে চলা ফুটবলারদের সঙ্গে। যদিও কেরালা ম্যাচের আগে অনুশীলনে দেখা গিয়েছে হেক্টর ইউস্তের সঙ্গে আনোয়ারকেই সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলাচ্ছেন কুয়াদ্রাত। যা থেকে পরিষ্কার, রবিবার কেরালার বিরুদ্ধে এই জুটিই শুরু করবেন লাল-হলুদ জার্সিতে।