নব্যেন্দু হাজরা: গরমকালে এসি না চালানো থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া, অ্যাপ ক্যাব ওলা-উবের নিয়ে যাত্রীদের নিত্য অভিযোগের অন্ত নেই। অথচ অ্যাপ ক্যাব সংস্থার কোনও অফিস না থাকায় যাত্রীরা অভিযোগ জানাতে পারেন না। তবে সেদিন শেষ হতে চলেছে। এবার কলকাতায় প্রত্যেক অ্যাপ ক্যাব সংস্থাকে অভিযোগ জানানোর বিশেষ সেল খোলার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
ময়দান টেন্টে অ্যাপ ক্যাব সংস্থা, ক্যাব সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অ্যাপ ক্যাবের পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ তো রয়েইছে। পাশাপাশি চালকদেরও অনেক অভিযোগ থাকে। কিন্তু এইসব অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলোর কোনও অফিস এখানে না থাকায় কেউই অভিযোগ জানাত পারে না। তাই ওদের এখানে অফিস খুলতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাতদিনের মধ্যে অ্যাপ ক্যাবের জন্য নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী ক্যাব রাস্তায় চলছে কিনা তা দেখতে প্রতি তিনমাস অন্তর আমি রিভিউ মিটিং করব। সবসময় মনিটর করা হবে।”
[আরও পড়ুন: জনসভায় যাওয়ার আগে পড়ুয়াদের পাতে নষ্ট বিরিয়ানি! মুখগুলো শুকনো দেখে কী করলেন মুখ্যমন্ত্রী?]
ক্যাব চালকদের অভিযোগ, কথায়-কথায় তাঁদের আইডি ব্লক করে দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা ভাড়া খাটতে পারেন না। চুক্তি অনুযায়ী ভাড়ার ৮০ শতাংশ চালকের এবং ২০ শতাংশ অ্যাপ সংস্থার নেওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ক্যাব সংস্থা ২৭ শতাংশ নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু সে কথা জানানোর কোনও সেল নেই।
তবে শুধু অ্যাপ ক্যাব সংস্থা নয়, বাইক ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণেও এবার কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। সেবিষয়েও এদিন বৈঠক করেন মন্ত্রী। জানান, নয়া গাইডলাইন আসবে বাইক ট্যাক্সির। ঠিক হয়েছে, বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট দেওয়া হবে তাদের। দেওয়া হবে নতুন পারমিটও। মাত্র ১০০০ টাকায় বাইককে এই পারমিট নিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, “তিন জেলার বদলে এবার পাঁচ জেলায় যাত্রী নিয়ে যেতে পারবে বাইক ট্যাক্সি। কলকাতা এবং জেলায় জেলায় ক্যাম্প অফিস হবে। সেখান থেকে এই পারমিট দেওয়া হবে। তবে বিনা পারমিটের বাইক ট্যাক্সি চললে তা ধরা হবে।”
[আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে ICU-CCU’র বরাদ্দ বাড়ল স্বাস্থ্যসাথীতে, ২ বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের]
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের তরফে এদিন একটি দাবিপত্র মন্ত্রীর হাতে দেওয়া হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভাড়ার তালিকা ঠিক করা থেকে শুরু করে অ্যাপ ক্যাব সংস্থার অফিস খোলার দাবি আমরা জানিয়েছে। চালকদের আয় বাড়াতে হবে। দেখা যাক কতটা সমাধান হয় সমস্যার!’’