সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল, ফিরে আসবেন দিন পনেরোর মধ্যে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই ফেরা আপাতত সুদূর। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির আগে মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোররা। মাঝে দীর্ঘ ৬ মাস। এতদিন সেখানে কীভাবে দিন কাটাবেন, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা, গুঞ্জন চলছে। মাঝেমধ্যেই অবশ্য তাঁরা স্পেস স্টেশন থেকে ভিডিও বার্তায় নিজেদের 'ভালো থাকা'র খবর দিয়েছেন সুনীতা, বুচ। কিন্তু এই মুহূর্তে কি তাঁরা সত্যিই নিরাপদে রয়েছেন? শোনা যাচ্ছে, মহাকাশ স্টেশনে অক্সিজেন, খাবারের সংকট হয়েছে। বিপদ বাড়ছে সুনীতাদের? খবর কতটা সত্যি, তা এবার স্পষ্ট করল নাসা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, চিন্তার কারণ নেই। অক্সিজেন, খাবার, জল আর জামাকাপড় নিয়ে ইতিমধ্যেই কার্গো ফ্লাইট উড়ে গিয়েছে সেখানে। হাতের কাছে সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে যাবেন আটকে থাকা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। নাসা (NASA) সূত্রে খবর, দুটি পণ্যবাহী মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS)। তার মধ্যে একটিতে ৮২০০ পাউন্ডের খাবার, জল ও দরকারি জিনিসপত্র রয়েছে। আরেকটিতে ঠাসা তিন টন সামগ্রী। এছাড়া স্পেস স্টেশনে এখন সুনীতাদের হাতেই ফলছে সবজি। ফলে খাবারের অভাব হওয়ার কোনও কারণ নেই। মহাশূন্যে কৃষিকাজ নিয়ে সুনীতা আর বুচ এখন গবেষণায় ব্যস্ত। কীভাবে আরও ভালোভাবে ফসল ফলানো যায়, তা নিয়ে। নাসার দাবি, শূন্যে ঝুলেও সুস্থভাবে থাকার জন্য স্পেস স্টেশনে জিম (Gym)তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁরা হালকা ব্যায়াম, শরীরচর্চা করে নিতে পারেন। তাই ভালোভাবেই তাঁরা থাকতে পারবেন বলে দাবি নাসার।
[আরও পড়ুন: সুকান্ত দিলীপের সঙ্গে ২ ঘণ্টার বৈঠক রাজ্যপালের, তার পরই তড়িঘড়ি দিল্লি যাচ্ছেন বোস]
এদিকে, মেয়ে অভিযানে গিয়ে এভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন, তা নিয়ে তেমন উদ্বিগ্ন নন সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) বিজ্ঞানীর মা বনি পাণ্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলছেন, ''আমি ওকে আলাদা কোনও পরামর্শ দিইনি। ও নিজের কাজ ভালোই জানে। এর আগে ৪০০ দিনের বেশি স্পেস স্টেশনে কাটিয়ে এসেছে। এখনও খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।''