সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে তিনি রাগেন না। বরং বেশিরভাগ সময়ই তিনি ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। কিন্তু এবারটি যেন আর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেন না জনপ্রিয় শিল্পী অরিজিৎ সিং। উলটে মঞ্চে দাঁড়িয়েই ভক্তকে বললেন সামলে যেতে!
ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক বরং। সম্প্রতি লন্ডনে একের পর কনসার্ট করছেন অরিজিৎ সিং। মাঝে মধ্য়েই সেই কনসার্টের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। এবার বার্মিংহামে কনসার্টের অরিজিতের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে তার গানের মাঝেই এক ভক্ত দর্শক নানারকম অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। ভক্তর এমন কীর্তি দেখে প্রথমে বিরক্তই হন অরিজিৎ। তারপর হঠাৎই হাতের ইশারায় অরিজিৎ যেন বলে উঠলেন, চুপচাপ বসে যাও, নাহলে মার খাবে!
আর জি কাণ্ডে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে গান বেঁধেছিলেন অরিজিৎ সিং। সেই গান হয়ে ওঠে আন্দোলনের গান। রাত দখলে জনসাধারণ রাস্তায় নেমে, সেই গানেই কণ্ঠ ছাড়েন। আর এবার সেই গান গাওয়ারই অনুরোধ এল এক লন্ডনবাসীর কাছ থেকে!
হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই ঘটেছে। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, লন্ডনের কনসার্টে একটার পর একটা গান গাইছেন অরিজিৎ সিং। হঠাৎই দর্শকের মধ্যে থেকে গায়কের কাছে আর কবে গানটি গাওয়ার অনুরোধ করে এক ভক্ত। সঙ্গে সঙ্গে অরিজিতের উত্তর, ”ভাই এটা এ সবের জায়গা নয়। মানুষ এখানে আমার গান শুনতে এসেছেন। এটা আমার কাজ। আমি কাজ করছি। আর ওই গান আমার শিল্প। এটা সঠিক সময় নয় এই গান গাওয়ার। তুমি যদি সত্যিই প্রতিবাদ করতে চাও, যাও কলকাতায় যাও।”
‘উই আর অরিজিতিয়ানস’ ফেসবুক ফেজ থেকে ‘আর কবে’ গানের ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে অরিজিতের ছবি রয়েছে। আর নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে গান। যেখানে কণ্ঠের শক্তি, চিত্তের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। গানের মাঝের কথা এইরকম, “…এ ব্যাথা আমার, নয় শুধু একার বিপ্লবী তিলোত্তমা করেছে অঙ্গীকার লুটিয়েছে প্রাণ তাই ধরেছি গান করছি প্রার্থনা বিফল না যায় সে বলিদান…”
যদিও ‘উই আর অরিজিতিয়ানস’ নামেরই ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে এর আগে অরিজিতের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। যেখানে গায়ককে বলতে শোনা যাচ্ছে, “(রাস্তায়) নেমে গেলেই তো আর হল না। সবাই নামছে তো। আছি আমরা সবাই। নেমে বিশৃঙ্খলা না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ একটা যদি ভাবে সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতেই পারে। যাঁরা তোমাদেরকে রাগাচ্ছে তোমরা রেগে যেও না। ওরাও কোথাও একটা দুঃখ পেয়ে বলছে। অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে হয়। ১০-১৫ বছর আগে হলে ভাবতে হত না। তোমাদের মতো স্বাধীনতা আমার নেই। আমি প্রতিদিন রাস্তায় বেরোতে পারি না। যে রকমভাবে তোমরা বিচরণ কর, রাস্তায় আমি তো পারি না। এই দ্যাখো ভিডিওতে কেসরিয়া কেসরিয়া… সব সময় কেসরিয়া হয় না…আমি রাস্তায় নামলে সেলফি তোলার ভিড়ই বেশি হবে।” সোমবার রাতে নাকি সোশাল মিডিয়ায় তারকা এও বলেছেন, ‘যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ।’ তাঁর বক্তব্য, ‘একজন নেতাজি, একজন স্বামী বিবেকানন্দকে দরকার, নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।’