সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ মধ্যস্থতায় ফের শান্তিচুক্তিতে সই করল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। মঙ্গলবার, অর্থাৎ আজ থেকেই বলবৎ হয়েছে চুক্তির শর্ত। তবে বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে জমি খুইয়ে এই চুক্তিকে অত্যন্ত ‘বেদনাদায়ক ও প্রবল ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেন আর্মেনিয়ার (Armenia) প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।
[আরও পড়ুন: অধিকৃত কাশ্মীরকে জঙ্গি শিবির বানিয়েছে পাকিস্তান, বিচার চেয়ে জো বিডেনের দ্বারস্থ বালোচ নেতা]
এদিকে, শান্তিচুক্তিতে আজারবাইজানের (Azerbaijan) শর্ত মেনে কার্যত আত্মসমর্পণ করার অভিযোগে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানের বিরুদ্ধে। দেশটির রাজধানী ইয়েরভানের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় হাজার হাজর মানুষ। সরকারি দপ্তরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আর্মেনিয়ার সংসদ ভবনে ঢুকেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, জনরোষে প্রবল মার খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আর্মেনীয় পার্লামেন্টের স্পিকার আরারাত মিরজওয়ান। বিক্ষবদ্ধদের মধ্যে ছিলেমন প্রাক্তন সৈনিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, নাগরণ-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের শর্ত মেনে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নিকোল পাশিনিয়ান।
রবিবার কারবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশা তারা দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করে আজারবাইজান। আজাবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই কথা ঘোষণা করার পরেই বাকু শহরের রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। তুরস্কের রাজনৈতিক নেতারাও অভিনন্দন জানান। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন নাগর্নো-কারাবাখের স্বঘোষিত স্বাধীন অঞ্চলটির সামরিক বাহিনী ‘আর্টসাক ডিফেন্স আর্মি’র শীর্ষ কর্তারা। ফলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েই যে আর্মেনিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ থেকে আর্মেনীয় অধ্যুষিত বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে জোর লড়াই শুরু করছে আর্মেনিয়া (Armenia) ও আজারবাইজান (Azerbaijan)। রুশ পৌরহিত্যে দু’বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হলে তা ক্ষণস্থায়ী হয়। তাই ককেশাসে শান্তি ফেরাতে কয়েকদিন আগে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তবে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ফলে দুই দেশের মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। যুদ্ধে এপর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।