বাবুল হক, মালদহ: বাড়িতে অস্ত্র তৈরির কারখানা। পুকুরে লুকোনো বড়বড় অস্ত্র তৈরি সরঞ্জাম। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) কালিয়াচকে। ইতিমধ্যেই অস্ত্র তৈরির একাধিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আতঙ্কে কাঁটা এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনার সূত্রপাত ৯ মে। ওই দিন অস্ত্র মজুতের অভিযোগে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আনারুল শেখ নামে এক যুবককে। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছিল। এরপরই তাকে টানা জেরা করে পুলিশ। সেই সময়ই কালিয়াচকের বীরনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পুকুরের হদিশ মেলে বলে খবর। আনারুলের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে আনারুলের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে ছাড়াই নবান্নে লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনা, নাম প্রস্তাব মমতার]
সোমবার সকালে আনারুলকে নিয়েই তাঁর বাড়ি সংলগ্ন পুকুরের পাড়ে হাজির হন পুলিশ কর্তারা। হতচকিত হয়ে যান প্রতিবেশীরা। বুঝতে পারেননি ঠিক কী হতে চলেছে। এরপরই পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশে শুরু হয় পুকুরে তল্লাশি। একের পর এক উঠে আসে অস্ত্র তৈরির বড় বড় সরঞ্জাম। সেগুলি দেখে চোখ কপালে উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, আনারুলের অস্ত্র কারবারের শিকড় অনেক গভীরে। তা খুঁজে বের করার চেষ্টাই করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের শেষ দিকে কুলতলিতেও অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। গভীর রাতে বারুইপুর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা মহিউদ্দিন সর্দার নামে একজনের বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে বলে খোঁজ পায়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের সূত্র ধরে ওই এলাকায় হানা দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে মহিউদ্দিন। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার হাতে তৈরি আটটি দেশি নতুন পিস্তল এবং তিনটি পুরনো বন্দুক উদ্ধার হয়। তাছাড়া ওই কারখানা থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ, লোহা কাটার মেশিন, ড্রিল, পলিশ করার মেশিন, স্ক্রু ড্রাইভার, হাতুরি।