সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থানায় ঢুকে ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার এক থানা। রাত ৯.৪০ নাগাদ থানায় ঢুকে এই 'হামলা' চালানোর অভিযোগ উঠেছে ১৬ সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিক। সেই হামলার ঘটনায় জওয়ানদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মামলার তদন্তে মঙ্গলবার কুপওয়াড়ার (Kupwara) বটপোরা গ্রামে এক জওয়ানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় স্থানীয় থানার পুলিশ (Police)। এই অভিযানের খবর সেনা ক্যাম্পে পৌঁছতেই রাত ৯.৪০ নাগাদ থানায় 'হামলা' চালায় জওয়ানরা। পুলিশের দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, ৩ সেনা আধিকারিকের নেতৃত্বে জোর করে থানায় ঢোকে জওয়ানরা। এর পর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের এলোপাথাড়ি মারধর করে। লাথি, ঘুসির পাশাপাশি রাইফেলের বাঁট দিয়ে ব্যাপকভাবে মারা হয়। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের এই হামলার কথা জানানো হলে রাতেই থানায় আসেন তাঁরা।
এর পরই সেখান থেকে চম্পট দেন ৩ সেনা কর্তা-সহ অন্যান্য জওয়ানরা। যাওয়ার সময় রাইফেল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এক পুলিশ কর্মীর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকী গুলাম রসুল নামে এক পুলিশ কর্মীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, জওয়ানদের মারে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ আধিকারিক-সহ ৫ পুলিশ কর্মী।
[আরও পড়ুন: একান্তে ধ্যান করবেন মোদি, নিরাপত্তায় ২ হাজার পুলিশ কর্মী, এলাহী আয়োজন বিবেকানন্দ রকে]
এদিকে মঙ্গলবার রাতে থানায় সেনা জওয়ানদের হামলার সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মীদের এলোপাথাড়ি মারধর করছেন জওয়ানরা। যদিও সেনার তরফে এই হামলার পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। থানায় হামলার সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এ প্রসঙ্গে সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, "পুলিশ ও সেনা জওয়ানদের মধ্যে ঝগড়া ও মারধরের খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এক তল্লাশি অভিযান নিয়ে দুই তরফে সামান্য মতভেদ তৈরি হয়েছিল, যা ভালভাবেই মিটিয়ে নিয়েছে দুই পক্ষ।" তবে সেনার এমন দাবির পর এবার ১৬ জওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল উপত্যকার পুলিশ।