ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP)পদ ছাড়ার পরপরই নতুন দায়িত্ব পেলেন অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh)। তাঁকে নতুন পদে আনল রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হলেন বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ। শুক্রবার দুপুরে দলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্পিতার নতুন দায়িত্বের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সি। নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি দলকে আরও এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা পালন করবেন বলেই আশাবাদী তৃণমূল।
Arpita Ghosh Appointment Letter
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আচমকাই ইস্তফা দিয়ে দেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh)। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এ নিয়ে বুধবার রাজনৈতিক মহলে বেশ তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। ঠিক কী কারণে ইস্তফা, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। পরে অবশ্য অর্পিতা ঘোষ নিজে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhsihek Banerjee) চিঠি লিখে পদত্যাগের কারণ জানান। চিঠিতে তিনি জানান, এই মুহূর্তে বাংলায় সংগঠনের কাজ করতে আগ্রহী। সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া হোক।
[আরও পডুন: বিশ্বসেরা আর জি কর হাসপাতাল, পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে স্বীকৃতি দিল WHO]
বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন, “বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর থেকেই ভাবছিলাম, দলের কাজ কীভাবে করব। আমায় যদি বাংলায় দলের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সাংসদ পদে না থেকে সেই কাজ করতে আমি বেশি আগ্রহী। আমার লক্ষ্য স্পষ্ট। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে আমি বাংলার কাজ করতে চাই।” চিঠিতে অর্পিতা স্পষ্ট লিখেছেন, “আমার মনে হয় রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় এসে কাজ করতে পারলেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।”
[আরও পডুন: WB By-Election: ভবানীপুরে মমতার হয়ে চলতি সপ্তাহ থেকেই প্রচারে নামছেন অভিষেক]
দলের দীর্ঘদিনের নেত্রী, প্রাক্তন সাংসদ, নাট্যকর্মীর সেই আবেদনেই কার্যত সাড়া দিল তৃণমূল। তাঁকে রাজ্যেই সংগঠনের কাজ করার সুযোগ করে দিলেন দলীয় নেতৃত্ব। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হয়েছে অর্পিতা ঘোষকে। এই মুহূর্তে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর সঙ্গেই এবার থেকে কাজ করবেন অর্পিতা ঘোষ। তাঁর বদলে রাজ্যসভায় কাকে পাঠানো হবে, তা নিয়ে এখনও দলের তরফে কোনও ইঙ্গিত না মিললেও কোনও সর্বভারতীয় নেতাকে এই পদের মনোনয়ন দিতে পারে তৃণমূল, ওয়াকিবহাল মহলের মত।