নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিষেণ সিং বেদির চিঠি বিতর্কের মাঝেই ডিডিসিএ’তে উন্মোচন করা হল প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির মূর্তির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর–সহ আরও অনেকেই। তবে সৌরভের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে যে গুঞ্জন, সেই নিয়ে মুখ খুললেন না বিসিসিআই সভাপতি। প্রয়াত অরুণ জেটলিরই ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল মহারাজের গলায়।
রবিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক। তারপর সোমবার সকালেই সৌরভের দিল্লি উড়ে যাওয়া। ডিডিসিএ’তে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচনে অনুষ্ঠান। সেখানে আবার উপস্থিত খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বভাবতই বাংলা–সহ গোটা দেশেরই নজর ছিল সেদিকে। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ এবং সৌরভ দু’জনেই কিন্তু শোনা গেল প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রশংসা। অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘ক্রিকেট খেলার সঙ্গে দু’ধরনের মানুষ যুক্ত থাকেন। এক যাঁরা ক্রিকেট খেলেন আর দুই, যাঁরা ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। তাঁদের অনেক অবদান থাকে। এজন্যই আমরা এই মূর্তির উন্মোচন করছি।’’
[আরও পড়ুন: অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, IFA সচিবের পর এবার পদত্যাগ দুই সহ-সভাপতির]
এদিকে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজনীতির কোনও প্রসঙ্গই ওঠেনি সৌরভের কথায়। বদলে ক্রিকেটের প্রতি অরুণ জেটলির অবদানের কথাই শোনা যায় তাঁর মুখে। মহারাজের কথায়, ‘‘অরুণ জেটলি বরাবরই ক্রিকেটার্স পার্সন ছিল। কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনিও তাই বলবেন। ক্রিকেটে একজনের প্রশাসকের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও সেটা বুঝেছি।’’ এরপরই তিনি আশাপ্রকাশ করেন, ডিডিসিএ সভাপতি হিসেবে অরুণ জেটলির পুত্র রোহনও প্রশংসনীয় কাজ করবেন। তবে বিষেণ সিং বেদির পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি মহারাজ।