সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসারকে জয় করে ছেষট্টিতেও যে নতুন ইনিংস শুরু করা যায়, তা বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণ লাল। মনের মানুষ বুলবুল সাহার সঙ্গে সোমবার সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। এবার কি তাহলে হানিমুনের পালা? কোথায় যাবেন জীবন সঙ্গীকে নিয়ে? বিয়ের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সে প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে দিলেন অরুণ লাল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই গায়ে হলুদ, খাওয়া-দাওয়া, রেজিস্ট্রি, মালাবদলের ছবি পোস্ট করেছিলেন বুলবুল সাহা। সন্ধেয় ধর্মতলা চত্বরের একটি নামজাদা হোটেলে হল বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান। ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি ও মেরুন জহর কোটে সেজেছিলেন বর। মেরুন রঙা লেহঙ্গায় নজর কাড়েন কনে। হয় সিঁদুরদান। তারপরই বাইরে এসে সকলের সঙ্গে দেখা করেন। উচ্ছ্বসিত অরুণ লাল (Arun Lal) জানান, “৬৬ বছরে বিয়ে করে কোনও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই না। এটা আমার অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি আর বুলবুল বাকি জীবনটা একসঙ্গে ভালভাবে কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছি।”
[আরও পড়ুন: ইদের সকালে ভিজল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, আরও দু’দিন চলবে বৃষ্টি]
আর মধুচন্দ্রিমায় নয়া দম্পতির গন্তব্য কোথায়? উত্তরে হেসে অরুণ লাল জানান, “সামনে বাংলার রনজির কোয়ার্টার ফাইনাল। বেঙ্গালুরু যেতে হবে। সেখানেই হবে মধুচন্দ্রিমা।” অর্থাৎ বিয়ে সেরেই তাঁর ফোকাস যে বাংলা দলের উপর থাকবে, সে কথাও মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না। বাংলা দলের সঙ্গে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছেন বুলবুলও।
সোমবার দুপুরেই ফেসবুকে পোস্ট করে বুলবুল লিখেছিলেন, “সরকারিভাবে মিসেস লাল হলাম।” তাঁর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান পরিবার এবং বন্ধুদেরও। অরুণ লাল ও বুলবুল সাহার নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ক্রিকেটার মনোজ তিওয়াজি, সৌরাশিস লাহিড়ী, সাবা করিম, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়রা। উল্লেখ্য, কমন বন্ধুর পার্টিতে প্রথমবার বুলবুলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অরুণ লালের। তারপরই শুরু প্রেম পর্ব। যা পরিণয়ে বদলে গেল সোমবার।