সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন পেলেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জেলমুক্তি নিয়ে শীর্ষ আদালতে দীর্ঘ শুনানি পরে হতাশ হতে হল তাঁকে। শুনানির সময়ে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্যই নির্বাচনী প্রচারে তাঁর অংশ নেওয়া উচিত। তবে নির্বাচন না থাকলে কেজরির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া নিয়ে এত ভাবনাচিন্তাও করা হত না। আগামী ২০ মে পর্যন্ত জেলেই থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানায়, গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানির জন্য সময় লাগতে পারে। তাই আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করবে। তার পরেই অনুমান ছিল, পরবর্তী শুনানিতে হয়তো জামিন পেতে পারেন আপ সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: টাইটানের শেয়ারে বিরাট ধসের জের একদিনে ৮০০ কোটি খোয়ালেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী]
মঙ্গলবার শুনানির সময় ইডি (ED) আধিকারিকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন দুই বিচারপতি। আবগারি মামলার তদন্ত করতে কেন এত বেশি সময় লাগছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সুপ্রিম কোর্ট মনে করিয়ে দিয়েছে, কেজরিওয়াল মোটেই দাগি অপরাধী নন। তাঁর পক্ষে ও বিপক্ষে- দুরকম ক্ষেত্রেই যদি প্রমাণ মেলে তাহলে কোনটাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের।
ইডিকে তোপ দাগার পরে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক শর্তও দেওয়া হত। দুই বিচারপতি জানান, "নির্বাচন (Lok Sabha 2024) না চললে হয়তো কেজরিকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা ভাবতাম না। তবে যদি কেজরিওয়াল জামিন পান তাহলে সরকারি নথিপত্রে সই করতে পারবেন না। সরকারি কাজে কেজরির কোনও হস্তক্ষেপ আমরা চাই না।" তবে দীর্ঘ সময় ধরে শুনানি চললেও শেষ পর্যন্ত জামিন মেলেনি কেজরির। আবগারি মামলায় আগামী ২০ মে পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচন ২৫ মে। তার আগে কি মুক্তি পাবেন আপ সুপ্রিমো?