সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত মার্চে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। ভোটের আগে সাময়িক জামিন পেলেও পরে ফের জেলে ফিরতে হয় তাঁকে। অবশেষে জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল, শুক্রবারই তাঁর জেল থেকে বেরনোর কথা।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের জামিন পান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন শুনতেই রাজি হয়নি। ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন আপ সুপ্রিমো। অবশেষে বৃহস্পতিবাসরীয় সন্ধ্যায় জামিন পেলেন কেজরিওয়াল। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর জামিনের খবরে খুশির হাওয়া আপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। দলের তরফে এক্স হ্যান্ডলে কেজরিওয়ালের মুক্তির কথা জানাতে লেখা হয় 'সত্যমেব জয়তে'।
[আরও পড়ুন: বিচারকের জন্য ট্রেনের আসন ছাড়তে হল সাধারণ যাত্রীকে! হতবাক সকলেই]
যদিও পরিস্থিতি যে এমন হতে পারে তা বোঝা যায়নি এদিন দুপুরেও। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আরজি নিয়ে রায়দান স্থগিত রাখে দিল্লির আদালত। গত দুদিন ধরে এই মামলার শুনানি হয়েছে রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে। যদিও আদালতে ইডি সওয়াল করেছে, কেজরির বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে বুধবারও ধাক্কা খেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal)। ওইদিন আদালতে ইডি দাবি করে, আবগারি দুর্নীতিতে কেজরির বিরুদ্ধে ১০০ কোটির দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে। সেই সওয়ালের ভিত্তিতেই আদালত জানিয়ে দেয়, বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল আপ সুপ্রিমোর। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত গারদের ওপারেই থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই জামিন পেয়ে যান কেজরি। আগামিকাল, শুক্রবারই তাঁর ছাড়া পাওযার কথা। ওইদিনই নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে যাচ্ছে ইডি।