সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলের মধ্যে গত কয়েকদিনে সাড়ে ৮ কেজি ওজন কমেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। আপের এহেন দাবির পর এবার পালটা বিবৃতি দিল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। আপের সব অভিযোগ খণ্ডন করে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ওজন কমাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য নিয়ে আপের দাবি উড়িয়ে তিহার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 'গত ১ এপ্রিল কেজরিওয়াল যখন জেলে আসেন তখন তাঁর ওজন ছিল ৬৫ কেজি। ৯ মে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময়ও তাঁর ওজন একই ছিল। এর পর ২ জুন তিনি যখন ফের জেলে আসেন তখন ওনার ওজন ছিল ৬৩.৫ কিলো। গত ১৪ জুলাই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় দেখা যায় ২ কিলো ওজন কমেছে তাঁর। অর্থাৎ ২ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে ২ কেজি ওজন কমেছে তাঁর।' এবং এই ওজন কমার জন্য কেজরিকে দায়ী করে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 'উনি ইচ্ছে করেই নিজের ওজন কমাচ্ছেন। বাড়ি থেকে ওনাকে খাবার পাঠানো হয়। তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় উনি সেই খাবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আগে ইচ্ছে করেই উনি সেই সব খাবার খেতেন যাতে সুগার বাড়ে।'
[আরও পড়ুন: ‘আম্বানি পুত্রের বিয়েতে বোমা…!’ হুমকি বার্তায় বাড়ল নিরাপত্তা]
একইসঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল। মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীও সর্বদা তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। ফলে আম আদমি পার্টির তরফে যে দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে দাবি করেছে তিহাড় কর্তৃপক্ষ। এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও পেশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কেজরির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। তিনি জানান, সাড়ে ৮ কেজি ওজন কমে গিয়েছে কেজরিয়ালের। বার বার সুগার ফল করছে। পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে আশঙ্কাজনক কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: চাবি না পেয়ে ভাঙা হল রত্নভাণ্ডারের তালা, কী আছে পুরীর রহস্যময় রত্নকক্ষে?]
এবার তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর ফের মুখ খুলেছে আপ। দলের সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে কেজরিওয়ালের সুগার লেবেল নিচে নেমেছে। সুগার ফল করার ফলে ঘুমের মধ্যেই কোমায় চলে যেতে পারেন উনি। এমনকী ব্রেন স্ট্রোকও হতে পারে ওনার। পাশাপাশি ওনার ওজন যে কমেছে সেটাও স্বীকার করে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।