সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেরায় নিজের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের নাম উল্লেখ করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। দিল্লির আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না কেজরি। বরং তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তিনি।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। রবিবার পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতেই ছিলেন তিনি। কিন্তু কেজরিকে আর নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি ইডি। সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহাড় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। আপাতত ১৫ দিন জেলেই থাকবেন তিনি। তবে আগামী দিনে আবারও কেজরিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে পুজোয় বাধা নেই, সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ মসজিদ কর্তৃপক্ষের আবেদন]
আদালতে সওয়াল চলাকালীনই কেজরির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু। তাঁর কথায়, "তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বরং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করছেন। ফোনের পাসওয়ার্ডও দেননি তদন্তকারী আধিকারিকদের। বলছেন, আপের (AAP) প্রাক্তন মুখপাত্র বিজয় নায়ারের কার্যকলাপের দিকে সেভাবে নজর রাখতেন না। বিজয়ের কাজ নিয়ে বিশদ বিবরণ থাকত দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশীর কাছে।" উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল বিজয় নায়ারেরও।
তবে এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেজরির বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি ইডি। অতিশীর নাম জড়ালেও তিনি এই প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। অন্যদিকে, সোমবার কেজরিকে পাঠানো হয়েছে তিহার জেলে। গারদের ওপারে তাঁর জন্য আলাদা ডায়েটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনটি বিশেষ বইও পড়তে পারবেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে রামায়ণ, ভগবতগীতাও। তবে স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন, জেরা শেষ হয়ে যাওয়া পরেও কেন জেলে পাঠানো হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে?