সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আবগারি মামলায় শেষ মুহূর্তে দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) জামিন বাতিল হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরির আইনজীবী জানিয়েছেন, সোমবারই মামলার শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার আপ সমর্থকদের হর্ষ বদলে যায় বিষাদে। বৃহস্পতিবারই নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। কিন্তু শুক্রবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তি আটকাতে তৎপর ইডি দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের। ইডির আর্জি ছিল, বাতিল করা হোক নিম্ন আদালতের নির্দেশ। শেষ পর্যন্ত সেই মতোই কেজরির জামিনে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয় ২৫ জুন। এই অবস্থায় জামিন পেতে মরিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। সোমবারই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন কেজিরওয়ালের আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: নিট দুর্নীতির তদন্তে নেমে আক্রান্ত CBI, বিহারে গ্রামবাসীদের হাতে মার খেলেন আধিকারিকরা]
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরে সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন শুনতেই রাজি হয়নি। গত ১০ মে কেজরিকে ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১ জুন নির্বাচনের ফল বেরনোর দিন অবধি অন্তর্বর্তী জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন আপ সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বড় ঘোষণা, এবার মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন সারোগেট মায়েরাও]
এর পর ফের জামিনের আবেদন করেন কেজরি। কিন্তু ইডি দাবি করে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। এ নিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামিন পান কেজরিওয়াল। জানা যায় শুক্রবার মুক্তি পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে তখনই জানা গিয়েছিল নিম্ন আদালতের বিরোধিতা করে শুক্রবারই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে ইডি। শেষপর্যন্ত তাদের আবেদনের পরই উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় কেজরির জামিন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধেই জামিন পেতে মরিয়া কেজরি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন।