সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েও তা আটকে গিয়েছে দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে। এহেন পরিস্থিতিতে জেল থেকে মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু সোমবার সেখানেও ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দিল্লি হাই কোর্টের রায় বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আপ সুপ্রিমোকে।
কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জামিন নিয়ে গত সপ্তাহ থেকে চলছে টালবাহানা। বৃহস্পতিবারই নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শুক্রবার মুক্তি আটকাতে তৎপর ইডি দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের। ইডির (ED) আর্জি ছিল, বাতিল করা হোক নিম্ন আদালতের নির্দেশ। শেষ পর্যন্ত সেই মতোই কেজরির জামিনে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট (Delhi High Court)। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয় ২৫ জুন। এই অবস্থায় জামিন পেতে মরিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
[আরও পড়ুন: নিট বিতর্কের মাঝেই এবার UPPSC! প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে যোগীরাজ্যে গ্রেপ্তার ৬]
দ্রুত শুনানির আর্জি জানান কেজরির আইনজীবী। সেই মতো সোমবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) শুনানি শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও আশার আলো মিলল না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। এদিন শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দিল্লি হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত কেজরির পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দিল্লি হাই কোর্ট যদি এই মামলায় কোনও রায় দেয় তাহলে সেদিকে নজর রাখবে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ দিল্লি হাই কোর্টে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে কেজরিকে।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। পরে সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন শুনতেই রাজি হয়নি। পরে রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে জামিন পেলেও এখনও জেলে বন্দি কেজরি।