সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Excise Policy Case) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) এবার তলব করল ইডি (ED)। ২ নভেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেজরিকে ইডির নয়াদিল্লির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। গত বছর আগস্টে দায়ের হওয়া আবগারি মামলার প্রথম এফআইআর-এ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও চার্জশিটে কেজরির নাম রয়েছে বলে খবর।
অনেক অভিযুক্তের সঙ্গেই তাঁর যোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। গত এপ্রিলে অবশ্য কেজরিওয়ালকে সিবিআই একবার তলব করেছিল। এবং ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেও নিজেই জানিয়েছিলেন কেজরি। এবার তাঁকে ডাকা হয়েছে ইডির তরফে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দুর্নীতির ‘কিং পিন’ বলে এবার তাঁর গ্রেপ্তারির পালা বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়েছে দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ যে আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, তাও বলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণ দেখিয়েই খারিজ করা হয়েছে আপ (AAP) নেতার জামিনের আবেদন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া। তবে সূত্রের খবর, এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানাতে চলেছে আম আদমি পার্টি।
[আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলা খারিজ আদালতে]
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। জামিনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থার খবর, জামিনের আর্জি খারিজ করার ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘অনেক আইনি প্রশ্নের উত্তর মেলেনি সম্পূর্ণভাবে। এছাড়া ৩৩৮ কোটির লেনদেনের বিষয়টিও মোটামুটিভাবে প্রমাণিত।’ সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দিয়ে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই-কে। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি দু্র্নীতি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। বারবার খারিজ হয়েছে তাঁর জামিনের আর্জি।