সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আপাতত তিহাড়ে জেলেবন্দি থাকতে হবে। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে খারিজ হয়ে গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচার চালান কেজরি। জামিন ফুরনোর আগেভাগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাজধানীর নিম্ন আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। এদিন তা খারিজ করল আদালত।
রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অতিরিক্ত ৭ দিন জামিন চেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ওই মামলা উঠেছিল বিচারক কাবেরী বাওয়েজার বেঞ্চে। শুনানিতে কেজিরর আইনজীবী বিবেক জৈন জানান, তিনটি বিভিন্ন ওজন যন্ত্রে আলাদা করে ওজন নেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালের। যদিও আদালতে তরফে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপশি আদালতের তরফে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন জামিন কেন চাইছেন এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: মোদির অজেয় ভাবমূর্তিতে চিড়! লোকসভার ফল নিয়ে কী বলছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলি]
রবিবারই তিহাড় জেলে ফিরেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তিনি ফেরার পরই জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন আপ নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, কেজরিওয়ালকে তাঁর সেলে কুলার দেওয়া হয়নি। এদিকে তিনটি বিভিন্ন ওজন যন্ত্রে আলাদা করে ওজন নেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালের, এই অভিযোগও করেছেন তাঁরা। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তিহাড় কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: টিকিট না পেয়েও দলবদলু নয়, তৃণমূলের ফল দেখে মমতা-অভিষেক বন্দনায় নুসরত]
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানায়, গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানির জন্য সময় লাগতে পারে। তাই আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করবে। এর পরই সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের জামিন পান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ২ জুন জেলে ফিরতে হয় কেজরিকে। আদালতের নির্দেশ মতো, ১৯ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় আদাতে থাকতে হবে তাঁকে।