shono
Advertisement

‘ভারতে মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করে’, ভাগবতকে তোপ ওয়েইসির

'ভারতে নেড়ি কুকুর সম্মান পায়, মুসলিমরা পায় না', মন্তব্য ওয়েইসির।
Posted: 01:38 PM Oct 09, 2022Updated: 09:39 PM Oct 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি এক মন্তব্য করেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জনসংখ্যায় ‘ধর্মীয় ভারসাম্যের’ বিষয়ে উল্লেখ করেন তিনি। রবিবার তার পালটা দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। নিজের বক্তব্যে এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান দাবি করলেন, ভারতে মুসলিমরাই (Muslim) সবথেকে বেশি কন্ডোম (Condom) ব্যবহার করেন। ফলে ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না, বরং তা কমছে।

Advertisement

সম্প্রতি দশেরার এক শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন আরএসএস সুপ্রিমো ভাগবত। সেখানেই তিনি বলেন, ”জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা ভৌগলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যাকে আর উপেক্ষা করা যাবে না। আর সেই কারণেই একটি সামগ্রিক জনসংখ্যা নীতি আনা উচিত। এবং সকলের জন্যই এটা সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।”

[আরও পড়ুন: বাজারদর বোঝার তাগিদ? আচমকা বাজারে হাজির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, কিনলেন সবজি]

এই বক্তব্যের বিরোধিতায় ওয়াইসি জানিয়ে দেন, ভারতে মুসলিমদের জন্মহার কমছে। বলেন, “আতঙ্কিত হবেন না। কারা সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন? আমরা। ভারতে মুসলিমদের জন্মহার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বরং কমছে।” ওয়েইসির দাবি, একথা জানা থাকলেও এই বিষয়ে মুখ খুলবেন না ভাগবত। এই বিষয়ে তথ্যও রয়েছে মজলিস এ ইত্তেহাদ মুসলিমিনের প্রধানের কাছে। তিনি বলেন, “আমি আপনার সামনে তথ্য পেশ করছি। কেন্দ্রের তথ্যই বলছে মুসলিমদের জন্মহার ২ শতাংশ কমে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ধর্মান্তরিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দিতে কমিশন কেন্দ্রের, নেতৃত্বে প্রাক্তন বিচারপতি]

গেরুয়া শিবিরকে সরাসরি আক্রমণ করে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, “বিজেপি এবং আরএসএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা দেশের জনগণের খাবারের ব্যবস্থা না করে মুসলিমদের উপর হামলা করবে।” গুজরাটে গরবা উৎসবে পাথর ছোড়ার অভিযোগ মুসলিম যুবকদের লাইটপোস্টে বেঁধে বেত্রাঘাত করার প্রতিবাদে জানাতে গিয়ে ওয়েইসি বলেন, বিজেপি শাসিত “ভারতে নেড়ি কুকুরও সম্মান পায়, মুসলিমরা পায় না।” মুসিলম নেতা বলেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলিম নাগরিকরা যেন জেলবন্দি। একের পর এক মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement