সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”একটা বাবরি মসজিদ হারিয়েছি। কিন্তু আমি চাই না আরেকটা মসজিদ হারাতে।” জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid) বিতর্কে এবার মুখ খুললেন AIMIM সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। জানিয়ে দিলেন, বাবরির মতো হারাতে চান না জ্ঞানবাপী মসজিদকে।
বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবারই স্থানীয় আদালত নির্দেশ দিয়েছে মসজিদের ভিতরে ভিডিও সার্ভে চালানো যাবে। সার্ভের দায়িত্বে থাকা কমিশনারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু আদালত তাঁকে সরানোর আরজিও খারিজ করে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে ফাটল ধরতেই ঠাঁই হয়েছে হোটেলে, রত্নভাণ্ডার নিয়ে উদ্বেগে ‘গয়নাপাড়া’ বউবাজার]
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুখ খুললেন ওয়েইসি। তিনি আদালতের নির্দেশের সমালোচনা করে বলেন, ”আদালতের এই রায় ‘উপাসনা আইন ১৯৯১’-এর সুস্পষ্ট উল্লঙ্ঘন। এটা বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও উল্লঙ্ঘন।”
এই রায়ের বিরোধিতা করে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন বলেও জানান হায়দরাবাদের সাংসদ। তাঁর কথায়, ”এটা স্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। এবং আমার আশা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং মসজিদ কমিটি এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। আমি বাবরি মসজিদ হারিয়েছি। চাই না আরেকটা মসজিদ হারাতে হোক।”
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি জেলে কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল ঘোষ? বৈপরীত্যে ঠাসা অভিনব মামলার রায় আজ]
উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরী স্থলে পুজো করার আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচজন মহিলা। গত একবছর ধরেই ওই অঞ্চলটি খুলে দেওয়া হয়েছে প্রার্থনা করার জন্য। কিন্তু ওই মহিলাদের আবেদন ছিল, তাঁরা চান ওই পুরনো মন্দির চত্বরের অন্যান্য দেববিগ্রহের সামনেও প্রার্থনা করতে। গত এপ্রিলে এই বিষয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
গত শুক্রবারই মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। কিন্তু এই ভিডিও সার্ভেতে আপত্তি তোলেন মসজিদ কমিটির সদস্য ও তাদের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, মসজিদের মধ্যে কোনও রকম ভিডিওগ্রাফি করা যাবে না। কিন্তু পিটিশন দাখিলকারীদের আইনজীবীরা বলেন, তাঁরা যা করছেন আদালতের নির্দেশ মেনেই। সেই মামলারই শুনানি ছিল। ভিডিও সার্ভে অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারই বিরোধিতা এবার ওয়েইসির মুখে।