নেপাল: ২৩০/১০ (আসিফ-৫৮, সোমপাল-৪৮, সিরাজ-৬৩/৩, জাদেজা-৪০/৩)
ভারত: ১৪৭/০ (রোহিত-৭৪* গিল-৬৭*)
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ১০ উইকেটে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই বৃষ্টি তো এই নেই। এই মন দিয়ে প্রতিপক্ষের উইকেট ফেলা হচ্ছে তো এই মাঠে পড়ছে কভার। এভাবেই বারবার ব্রেক কষে ডাকওয়ার্থ লুইসের শরণাপন্ন হয়ে সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত করল ভারতীয় দলকে। কিন্তু খবর সেটা নয়, খবর হল ভারতীয় বোলিং অ্যাটাককে দুর্দান্তভাবে সামাল দিল নেপাল। আর ক্রিকেট বিশ্বের সামনে ভারতীয়দের ফিল্ডিংয়ের হতশ্রী চেহারাটা ফুটিয়ে তুলল। তাই চলতি এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) থেকে বিদায় নিলেও নেপালের এ ইনিংস মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
টস জিতে সোমবার পাল্লেকেলেতে রোহিত পাউডেলদের ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। লক্ষ্য, দ্রুত নেপালের ব্যাটিং অর্ডার ধস নামিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে ম্যাচ শেষ করা। কিন্তু কোথায় কী! শামি-সিরাজ-জাদেজা-শার্দূলদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে লড়াই করলেন আসিফ শেখরা। পাকিস্তান যেখানে নেপালকে মাত্র ১০৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল, সেখানে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বিরুদ্ধে ওয়ানডে মানচিত্রের ‘শিশু’ নেপাল ২৩০ রান করে ফেলল। খেলল ৪৮.২ ওভার। শুধু তাই নয়, হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন আসিফ। আরেক ওপেনার কুশল করেন ৩৮ রান। সোমপাল কোমি ৪৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। সুপার ফোরে পৌঁছনোর স্বপ্নপূরণ হল না ঠিকই, তবে বর্তমানে ভারতের সেরা একাদশের বিরুদ্ধে এই পারফরম্যান্সই বা কম কী!
[আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলা: বিতর্কিত ১৬ ফাইল ব্যবহার করা যাবে না, নির্দেশ হাই কোর্টের]
নেপালের এহেন পারফরম্যান্সই কিন্তু ভারতীয় দলের জন্য অশনিসংকেত। মাস পেরলেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে নেপালের মতো দলও নাকি রোহিতদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ ভারতের বিশ্রী ফিল্ডিং। ম্যাচের প্রথম পাঁচ ওভারেই তিন-তিনটি ক্যাচ ফস্কান শ্রেয়স আইয়ার, বিরাট কোহলি এবং ঈশান কিষান। প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রতিফলন কি না, তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে সুপার ফোরে এহেন ফিল্ডিংয়ের পুনরাবৃত্তি হলে কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার থেকে বিরাট কিছু একটা আশা করা যাবে না।
এদিন বৃষ্টির জেরে ম্যাচের ওভার কমে হয় ২৩। আর লক্ষ্যমাত্রা ১৪৫। ক্যাপ্টেন রোহিত এবং ওপেনার সঙ্গী শুভমান গিল মিলেই সেই রান তুলে নেন। নেপালের বিরুদ্ধে অন্তত প্রত্যাশিত ব্যাটিংটা করেছে ভারত। তবে সুপার ফোরের চ্যালেঞ্জটা ভারতীয় দলের কাছে কিন্তু খুব একটা সহজ হবে না। কারণ ১০ সেপ্টেম্বর আবারও শক্তিশালী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে হবে রোহিতদের।