সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। এশিয়া কাপে (Asia Cup) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ইনিংস যেন সেই বহু পুরনো প্রবাদ আরও একবার প্রমাণ করে দিয়ে গেল। ইনিংশের শুরুটা হয়েছিল একরাশ হতাশা দিয়ে। মাঝখানে দুর্দান্ত লড়াই ভারতের। শেষদিকে আবার পাক পেসারদের দাপট। যার ফলে শেষপর্যন্ত ভারতের স্কোর দাঁড়াল ২৬৬ রান।
পাল্লেকেল্লেতে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে যে দুঃস্বপ্ন ভারতীয় সমর্থকরা দেখছিলেন, হলও সেটাই। প্রথম সাত ওভারেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) ফিরিয়ে দেন শাহিন। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ারও। শুভমন গিল ৩২টি বল খেলে ১০ রান করে ফেরেন। এদের ফেরান রউফ। একটা সময় মাত্র ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অবধারিত বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছিল টিম ইন্ডিয়া। মনে হচ্ছিল যেন, সম্মানজনক স্কোরটুকুও করতে পারবেন না রোহিতরা।
[আরও পড়ুন: ‘রিভলবারের একটি গুলিই যথেষ্ট’, সৌরভের গ্রেপ্তারিতে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি]
ঠিক তখনই দুঃস্বপ্নের সেই কালো রাত কাটিয়ে সোনালি রশ্মি দেখালেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan) এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে নিয়ে গিয়ে গেলেন দুই তারকা। প্রথম পাক শিবিরে প্রত্যাঘাত আনা শুরু করেন ঈশান। হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ধীরে ধীরে ভারতকে ১০০-১৫০-২০০ রানের গণ্ডি পার করে দেন তিনি। এই জুটির উপর ভর করে নতুন ভরের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল ভারত। ঠিক তখনই ফের আঘাত হানল নিয়তি। ব্যক্তিগত ৮২ রান করে রউফের বলে বাবরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ঈশান। ভারতের স্কোর তখন ২০৪-৫।
[আরও পড়ুন: মিলল সবুজ সংকেত, এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বিমান সংস্থা ভিস্তারা]
সঙ্গীকে হারিয়ে অবশ্য হতাশ হননি হার্দিক (Hardik Pandya)। নিজের অর্ধশতরান আগেই করেছিলেন। এবার প্রতিআক্রমণ শানানো শুরু করলেন। জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ফের জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সে জুটিও স্থায়ী হল না। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল হার্দিকের সেঞ্চুরি নিশ্চিত, ঠিক তখনই আউট হয়ে যান টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে। ভারতের স্কোর তখন ২৩৯ রান ৬ উইকেটে। তখনও হয়তো বড় রানের আশা করছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। কিন্তু পরবর্তী ৩ বলে বদলে গেল সবটা। একে একে ফিরে গেলেন জাদেজা এবং শার্দূলও। যে স্কোরটা মনে হচ্ছিল ৩০০-র কাছে চলে যাবে পরপর উইকেট খুইয়ে সেটাই নেমে এল ২৬৬ রানে। ৫০ ওভার খেলতেও পারলেন না ভারতীয় ব্যাটাররা। ইনিংস শেষ হল ৪৮ ওভার ৫ বলে। ১০টি উইকেটই তুললেন পাক পেসাররা। ৪ উইকেট পেলেন শাহিন, ৩টি করে উইকেট পেলেন রউফ এবং নাসিম শাহ।