সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: হাতি-মানুষের লড়াই আর তা থেকে বাঁচার রসদ খুঁজে বের করা। এই দুই মিলিয়ে নতুন দিশা দেখাতে এবং জীবনমুখী প্রচার করতে শুরু করা হয়েছিল এশিয়ান রুরাল ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল। ভারত-নেপাল সীমান্তে গত চার বছর ধরে এই পর্যটন উৎসব আয়োজন করা হয়ে আসছে। চলতি বছর তা পাঁচ বছরে পা দেবে। আগামী ২৫ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত লাগোয়া নেপালের বামনডাঙিতে এই পর্যটন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য সেই একই। যতটা সম্ভব হাতি এবং মানুষের দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনা এবং দু’দেশের মধ্যে মেচি নদী লাগোয়া এলাকায় আন্ত-সীমান্ত সম্পর্ক আরও সুসংহত করা। পর্যটনের মাধ্যমে দু’দেশের এই সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়ন করা এবং তার মাধ্যমে একটি এশিয়ান মডেল তৈরি করাও এর উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন অন্যতম উদ্যোক্তা রাজ বসু।
শুধু ভারত-নেপালই নয়, ভুটান-মায়ানমার এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোকেও এক ছাতার তলায় এনে সামগ্রিক উন্নয়ন করাটাও অন্যতম উদ্দেশ্য। ‘এশিয়ান রুরাল ট্যুরিজম’ যার অধীনে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার এবং ভুটান রয়েছে। দু’দেশের স্বেচ্ছাসেবী একাধিক সংগঠন একসঙ্গে মিলে কাজগুলি করছে। গত সাত বছর ধরে তবে সম্মিলিত প্রয়াসে পর্যটন উৎসবের এবার পঞ্চম বর্ষ। এই পর্যটন উৎসবে অংশ নেওয়ার কথা ভারতের ডুয়ার্স, সিকিম, নেপাল-সহ অন্যান্য দেশগুলির বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিনিধিদের। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মী এবং শিল্পীরা অংশ নেবেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে জানানো হয়েছে।
[ঘরের কাছে আরশিনগর, খোঁজ দেবে বর্ধমানের পর্যটন মেলা]
পাশাপাশি ফ্লোকাথন বা ফোক ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে উৎসবের অঙ্গ হিসেবে। পূর্ব নেপালের বাহুবন এবং বাঁশবাড়ি এই দুটি গ্রামকে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এই গ্রাম দুটিতে পর্যটনের মাধ্যমে সর্বাত্মক উন্নতি করার চেষ্টা চালাবে এশিয়ান রুরাল ট্যুরিজম। এর আগে বামনডাঙি এবং শলকপুরকে এভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের মুখপাত্র প্রবীণ ভাণ্ডারি জানিয়েছেন, পাঁচ দিনের উৎসবে আরও একাধিক চমক রাখা হয়েছে যা সেখানে উপস্থিত হলেই জানা যাবে।
[এবার বন্ধ চোখেও অনুভব করা যাবে ভিক্টোরিয়া]
The post হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে এশিয়ান রুরাল ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের প্রচারে জোর appeared first on Sangbad Pratidin.