বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বড়দিনে তুষারপাতের আশায় সিকিমে পর্যটকের ভিড়। এদিকে দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন পর্যটকদের টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখাতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁরা নিতে পারবেন না। এমন গাড়ির ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ভ্রমণসূচি পালটে সিকিমমুখী হয়েছেন। ফলে দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের মধ্যে গাড়ি পাওয়া ও টাইগার হিলে যাওয়া নিয়ে দুশিন্তা দেখা দিয়েছে।
পর্যটন সংস্থাগুলোর একাংশের মতে দার্জিলিং পাহাড় ও শিলিগুড়ি সমতলের গাড়িচালকদের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। সোমবার দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, পর্যটকদের টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখাতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিতে পারবেন না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে হোটেলে থেকে টাইগার হিলে যাওয়ার গাড়ি পাবেন কেমন করে? বিষয়টি পর্যটকরা ভালো চোখে নিচ্ছেন না বলে খবর। ইতিমধ্যে অনেকেই দার্জিলিং পাহাড়ের বুকিং বাতিল করে সিকিমে ভিড় জমিয়েছেন। ওই সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ক্রমশ সেটা বাড়ছে বলে খবর।
সিকিম সরকারের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিমে এখন ১ হাজার ১৮১টি হোটেল, ১ হাজার ৯৮১টি হোমস্টে, ৬০০টিরও বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে। অতিরিক্ত গেস্টহাউস এবং পিজি সুবিধা রয়েছে যেখানে আরও দেড় হাজার পর্যটক থাকতে পারবেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের হোটেল ও হোমস্টেগুলোতে ২২ হাজার ৬৫২টি রুম এবং ৪৩ হাজার ৮০৭টি শয্যা রয়েছে। এখন শুধুমাত্র গ্যাংটকে প্রতিদিন ৪৫ হাজার পর্যটক থাকতে পারেন। কিন্তু এবার ভিড় যেভাবে বেড়ে চলেছে, আগাম বুকিং করে না গেলে পর্যটকদের বিপদে পড়তে হতে পারে।
