বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য ও ধনরাজ ঘিসিং: অবশেষে জিটিএ-র হস্তক্ষেপে টোল নিয়ে কাটল জট। আজ বড়দিন থেকে পাহাড়ের গাড়ি চালকরা পর্যটকদের টাইগার হিলে নিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। বুধবার ড্রাইভার্স ফোরাম ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জিটিএ কর্তৃপক্ষ। জিটিএ-র সহ-সভাপতি রাজেশ চৌহান বলেন "চালকদের দাবি পূরণ করা হয়েছে। ওরা টাইগার হিলে যাবেন।" অন্যদিকে ড্রাইভার্স ফোরামের মুখপাত্র বিশ্বাস বোমজান বলেন, "বড়দিন থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।"
চালকদের সংগঠন ১৮ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের টাইগার হিলে নিয়ে যাওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করে আসছিল। তাদের দাবি ছিল টাইগার হিলে যেতে টোকেন নেবেন না। টোল ফি দেবেন না। ওই সমস্ত দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য জিটিএ বুধবার বৈঠক করে। সভায় ড্রাইভার ফোরাম, পুলিশ প্রশাসনের যুগ্ম সুপারিনটেনডেন্ট দেবশীষ দাস, ট্রাফিক ডিএসপি শেরপা লেপচা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর রাজেশ চৌহান বলেন, "আমরা চালকদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। '' রাজেশ চৌহানের কথায়, চালকদের দাবি মেনে আমরা ২০২১ সালের নিয়ম অনুযায়ী টাইগার হিলের টোকেন দেব। ফি ২০ টাকা নেওয়া হবে। নতুন নিয়ম না হওয়া পর্যন্ত এটি চলবে।
অন্যদিকে বড়দিনে তুষারপাতের আশায় সিকিমে এখন পর্যটকের ভিড়। এর মধ্যেই দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, পর্যটকদের টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখাতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁরা নিতে পারবেন না। যদিও গাড়ি নিয়ে চলা জট কাটায় পর্যটকদের গাড়ি পাওয়া আর সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। খুব সহজেই গাড়ি বুক করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও পাহাড়-সমতলের গাড়ি চালকদের দড়ি টানাটানির জেরে নাকাল হতে হচ্ছে পর্যটকদের! এনজেপি অথবা বাগডোগরায় নেমেও কেউ বুঝতে পারছেন না আদৌ শৈল শহরে পা রাখতে পারবেন কিনা! এই অবস্থায় যদিও মুশকিল আসান হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম (এনবিএসটিসি)। পরিবহণ নিগমের তরফে ফের ‘ট্যুরিস্ট ট্যাক্সি’ সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেটা হলে সামান্য খরচে পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারবেন পাহাড়ের গন্তব্যে।
