shono
Advertisement

অসমের মুসলিম এলাকায় ফুটল না পদ্ম, ব্যর্থতায় দলের সংখ্যালঘু সেল-ই তুলে দিল BJP

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৮টি বিধানসভায় প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। একটিতেও জয় আসেনি।
Posted: 02:49 PM May 06, 2021Updated: 04:06 PM May 06, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে আসেনি সংখ্যালঘু ভোট। আর তাই বেজায় চটেছে অসম বিজেপি নেতৃত্ব। ফলাফল সামনে আসতেই দলের সংখ্যালঘু সেল ভেঙে দিল তারা। অসম বিজেপির এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

অসমের (Assam) বিধানসভার ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। ১২৬টি আসনের মধ্যে ৭৫টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। এর মধ্যে ৬০টি আসন পেয়েছে বিজেপি কিন্তু মুসলিম এলাকায় বড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৮টি বিধানসভায় প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। একটিতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। উলটে বেশকিছু আসনে জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। তাদের জোটসঙ্গী অসম গণপরিষদ ৩ টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভায় প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে তাদেরও হাতে রইল পেনসিল।

বিজেপি জানিয়া, জলেশ্বর, দক্ষিণ সালমারা, বিলাসিপাড়া পশ্চিম, লহরিঘাট, রুপোলিহাট এবং বরাক উপত্যকার সোনাইতে প্রার্থী দিয়েছিল। এগুলি মুসলিম প্রধান অঞ্চল। এই সব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার যথাক্রমে ৬.১৮, ৯.৩৮, ২.০১, ১৬.৭৮, ২১.২৬, ১৪.২২, ৩৫.৪৯। তথৈবচ অবস্থা অসম গণপরিষদের প্রার্থীদেরও। সেঙা, দলগাঁও এবং যমুনামুখে সুবিধা করতে পারেনি বিজেপির জোটসঙ্গী। এর পরই দলের সংখ্যালঘু সেল ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন : কোর্টের খবর করতে বাধা নেই মিডিয়ার, কমিশনের আবেদন খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট]

এ প্রসঙ্গে অসম বিজেপির সভাপতি রণজিৎ কুমার দাশ জানান, “বিধানসভা ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির ফলাফল খুব খারাপ। এলাকাগুলিতে খুব কম ভোট পেয়েছে বিজেপি। অথচ এই সমস্ত এলাকায় ২০ সদস্যের বুথ কমিটি ছিল।” দলীয় নেতৃত্বের কথায়, সংখ্যালঘু এলাকায় এত খারাপ ফলের পর আর দলে সংখ্যালঘু সেল রাখার কী প্রয়োজন? উল্লেখ্য, অসমে ৩২-৩৪টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা রয়েছে। ২০১৬ সালে এই বিধানসভাগুলির মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি।

অসমে বিজেপির এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের কথায়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারছে না গেরুয়া শিবির। এটা তাঁদের কাছেও স্পষ্ট। তাই কি এবার সংখ্যালঘু সেল ভেঙে দিতে চাইছে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।

[আরও পড়ুন : বাড়ছে সংক্রমণ! করোনা রুখতে এবার সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করল কেরল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement