shono
Advertisement
SSC final verdict

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম দরবারে SSC মামলা, ভাগ্য নির্ধারণ ২৬ হাজারের?

১০ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।
Published By: Paramita PaulPosted: 08:26 PM Apr 02, 2025Updated: 08:45 PM Apr 02, 2025

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: এসএসসির ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের ভবিষ্যৎ কী? তাঁদের চাকরি থাকবে নাকি ত্রিপুরার মতো চাকরিহারা হবে বাংলার বিপুল সংখ্যক শিক্ষক? যোগ্য-অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব হবে? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব মিলবে আগামিকাল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায়দান। ১০ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল, কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কোর্টের কলমের খোঁচায় চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে দফায় দফায় সেই মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিল এবং বেতন ফেরতের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তারপর থেকে দফায় দফায় শুনানি চলছিল। 

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল শেষ শুনানি। তখন সিবিআই জানিয়েছে, তারা চাইছে, কলকাতা হাই কোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকুক। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, র‌্যাংক জাম্প বা প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য থাকলেও ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য তাদের কাছে নেই। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে এতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তাঁর প্রশ্ন, “কোন ওএমআর আসল?” সিবিআই-এসএসসি কোনও পক্ষই বলতে পারেনি কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য। কোন ওএমআর শিট-কে আসল বলে ধরা হবে তা নিয়েও একমত হতে পারেনি কোনও পক্ষই। ফলে রায়দান স্থগিত রাখেন প্রধান বিচারপতি। এবার সেই মামলার রায়দান আগামিকাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ১০ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।
  • দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল, কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল।
  • মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
Advertisement