সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: হাতে বাকি দু’দিন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় নির্বাচন (West Bengal Assembly Elections) দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। তার আগে রবিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কুলপির হেলেগাছি এলাকা। তৃণমূল-আইএসএফ (ISF) কর্মীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৭ জন। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ এপ্রিল কুলপিতে ভোট। ভোটপ্রচারের শেষদিন, রবিবার দুপুরে কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রের হেলেগাছিতে আইএসএফের (ISF) একটি মিছিল ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত। বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফের কর্মীরা। এরপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ন দুই দলের কর্মীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হেলেগাছি এলাকা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে বহুক্ষণ টায়ার জ্বালিয়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন আইএসএফ কর্মীরা। কুলপি কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী সিরাজ গাজির অভিযোগ, প্রচারের শেষ লগ্নে তাঁদের মিছিলের ওপর বোমা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। এই হামলায় ১২ জন আইএসএফ ও বামকর্মীদের বারোজন আহত হয়েছেন। তাঁদের কুলপি ও ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘বয়ালের বুথে কোনও ছাপ্পা ভোট হয়নি’, মমতার অভিযোগ উড়িয়ে কড়া চিঠি কমিশনের]
এদিকে কুলপি ব্লকের তৃণমূল ছাত্রপরিষদ সভাপতি আলি আকবর সাঁফুই জানান, তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় কোনওভাবেই জড়িত নয়। তাঁর কথায়, “গ্রামের মহিলারা কল থেকে জল নিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় আইএসএফের মিছিল থেকে মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা হয়। মহিলারাই তার প্রতিবাদ করেন। তখন মিছিল থেকে বেরিয়ে কয়েকজন যুবক গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের মারধর করে। গ্রামের পাঁচ বাসিন্দা এই ঘটনায় আহত হন।” তখনই গ্রামবাসীরা দল বেঁধে ওই আইএসএফ কর্মীদের তাড়া করে বলে দাবি তৃণমূলের ওই ছাত্রনেতার। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে পালটা দাবি আইএসএফের। দু’পক্ষের অভিযোগ-পালটা অভিযোগে নাজেহাল পুলিশকে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব়্যাফ। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।