সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে 'বিশৃঙ্খলতার ঈশ্বর'! অতিকায় এই গ্রহাণুর নাম '৯৯৯৪২ অ্যাফোফিস' হলেও এই নামেই ডাকা হচ্ছে তাকে। যদিও ২০২৯ সালের এপ্রিলে তার আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, তবুও এখন থেকেই নাসার কৌতূহলের শেষ নেই গ্রহাণুটিকে ঘিরে। কিন্তু সত্য়িই কি বিরাট ওই মহাজাগতিক খণ্ড ডেকে আনবে 'শেষের সেদিন'?
২০০৪ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই গ্রহাণুটি। আর তখন থেকেই তাকে ধরা হচ্ছে 'নিয়ার আর্থ অবজেক্ট' হিসেবে। আপাত ভাবে মনে করা হচ্ছে, পৃথিবীর কাছ দিয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম, তবু তা একেবারে শূন্য নয়। আর এখানেই রয়েছে আশঙ্কা। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নীল রঙের গ্রহের ৩২ হাজার কিমি দূর দিয়েই চলে যাবে বাদামের আকৃতির গ্রহাণু। তবু এখনও যেহেতু সময় আছে, তাই অচিরেই গতিপথ বদলে অচিরেই তা আছড়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এই সম্ভাবনা দশ লক্ষে এক! কিন্তু আশঙ্কা অবশ্যই থেকে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে গিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার]
কী হবে সংঘর্ষ হলে? বলা হচ্ছে, তার ফল হবে অকল্পনীয় ভয়ংকর। ১১০০ ফুটের অ্যাফোফিস আছড়ে পড়লেই নির্গত হবে ১২০০ মেগাটন টিএনটি। যা বহু জনপদকে চ্যাপ্টা বানিয়ে দেবে। যা সৃষ্টি করবে সুনামি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফলে পৃথিবীর বহু অঞ্চলই প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।