shono
Advertisement

করোনা প্রতিরোধে ধাক্কা! ডাহা ফেল অক্সফোর্ডের নাকে দেওয়া টিকা

কিছুদিন আগেই ভারত বায়োটেকের ন্যাসাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
Posted: 12:08 PM Oct 13, 2022Updated: 01:26 PM Oct 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (COVID) রুখতে ন্যাসাল ভ্যাকসিনের মহড়া শুরু করছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। কিন্তু প্রত্যাশিত ভাবে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারল না এই ভ্যাকসিন। তবে এই মহড়া একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের ছিল বলে জানানো হয়েছে অক্সফোর্ডের (Oxford) তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারত বায়োটেকের ন্যাসাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।   

Advertisement

ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) ও অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছিল ন্যাসাল ভ্যাকসিন। ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রতিষেধক দেওয়ার পরিবর্তে নাকের মধ্য দিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার চেষ্টা করা হয় এই ন্যাসাল ভ্যাকসিনের মাধ্যমে। বেশ কিছু ব্যক্তির শরীরে এইভাবে প্রতিষেধক দেওয়ার পরে দেখা যায়, প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে অক্সফোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন ব্যর্থ হয়েছে।

[আরও পড়ুন: রাজা হওয়ার ৮ মাস পর রাজ্যাভিষেক তৃতীয় চার্লসের, কেন এত দেরি?]

বিশ্ব জুড়ে গবেষকরা মনে করেছিলেন, করোনা ঠেকাতে হলে ন্যাসাল ভ্যাকসিনই (COVID Vaccine) সবচেয়ে বেশি কার্যকারী হবে। কারণ হিসাবে মনে করা হয়েছিল, নাকের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক কম হবে। ইনজেকশনের তুলনায় অনেক কম ব্যথা হবে এই ভ্যাকসিনে। সেই সঙ্গে ন্যাসাল ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সরাসরি বায়ুবাহিত করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। কিন্তু প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।

কিছুদিন আগেই ন্যাসাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত বায়োটেক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন, ‘এই পদক্ষেপ অতিমারীর বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজ্ঞান, মানব সম্পদ, গবেষণা ও উন্নয়নের শক্তিকে কাজে লাগিয়েছে। ‘সব কা প্রয়াস’ এবং বিজ্ঞান চালিত পদ্ধতির সাহায্যেই আমরা করোনাকে হারাতে পারব।’ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রাথমিক প্রতিরোধকারী হিসেবে এই টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু অ্যাস্ট্রোজেনেকার ন্যাসাল ভ্যাকসিনের ব্যর্থতার পরে কীভাবে এগোবে ভারত বায়োটেক, সেদিকে নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে বিভক্ত সুপ্রিম কোর্ট, মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement