সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছিল আতঙ্কের পরিবেশ। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার জানা যাচ্ছে, এই সংস্থার তৈরি সমস্ত কোভিড টিকা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে তারা। এই তালিকায় রয়েছে ভারতের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনও (Covishild)।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তরফে দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্বের বাজার থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Astrazeneca) তৈরি 'ভ্যাক্সজেভরিয়া', কোভিশিল্ড-সহ অন্যান্য আরও যা করোনা টিকা রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। যদিও সম্প্রতি করোনা টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলেও বাজার থেকে টিকা তুলে নেওয়ার পিছনে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে। সংস্থার দাবি, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে এর চাহিদা কমে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কারণে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই টিকা। এর সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। সূত্রের খবর, বাজার থেকে টিকা তুলে নেওয়ার জন্য গত ৫ মে আবেদন জানিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর পর ৭ মে থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ইউরোপে কোভিড টিকার বাজার অনুমোদনও প্রত্যাহার করা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে।
[আরও পড়ুন: তিন হাজার কেজির পোলাও ভোগ! মনস্কামনা পূরণে বড়মার অন্নকূট উৎসবে ভক্তের ঢল]
সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালতে এই ওষুধের ভয়াবহতার কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর পরই শোরগোল শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। আদালতে রিপোর্ট পেশ করে সংস্থা জানায়, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণে টিটিএস-এর মতো বিরল রোগ হতে পারে। তবে টিকা না নিলেও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। কী কারণে এমনটা ঘটছে সে বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার দাবি রাখে।’ যদিও সংস্থা এটাও জানায়, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার অত্যন্ত কম। সার্বিক ভাবে এই টিকা নিরাপদ এবং কার্যকর।
[আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় মোদির সভার আগে জেসিবি নামিয়ে মাঠ খোঁড়াখুঁড়ি! নিশানায় তৃণমূল শাসিত পুরসভা]
জানা যাচ্ছে, এই বিরল রোগে শরীরের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। কমে যেতে পারে রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা। প্লেটলেটস হল ছোট থোট কোষ যা রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমলে, তা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। এর ফলে মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, পেটে যন্ত্রণা, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ফিট হওয়া বা জ্ঞান হারানো, ভাবনাচিন্তা করতে সমস্যা হওয়া।