সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ভ্যাকসিনের ককটেলেই হবে বাজিমাত!অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক নেওয়ার পর ফাইজারের টিকা নিলে তা করোনা রুখতে ‘অত্যন্ত কার্যকর’ ও ‘সুরক্ষিত’ বলে দাবি করা হয়েছে এক রিপোর্টে।
[আরও পড়ুন: আগামী ৩ মাসেও দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়, বিবৃতি দিয়ে জানাল সেরাম]
করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক ভ্যাকসিনের ককটেল নিয়ে গবেষণা চালায় স্পেনের ‘Carlos III Health Institute’ নামের একটি সংস্থা। ওই গবেষণায় ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স এমন ৬৭০ জন অংশ নেন। তাঁরা সকলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। পরীক্ষা চলাকালীন এদের মধ্যে ৪৫০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। তারপর সরকারি মদতপুষ্ট প্রতিষ্ঠানটির ‘Combivacs study’ শীর্ষক ওই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়। এক দল যাঁরা শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন। অন্য দলে ছিলেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর যাঁদের ফাইজারের প্রতিষেধকও দেওয়া হয়। গবেষণা শেষ হলে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, যে ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনের ককটেল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের রক্তে তুলনামূলকভাবে ‘IgG’ অ্যান্টিবডি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড নামে এক সংস্থার দাবি করে যে গবেষণায় দেখা গিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার (AstraZeneca ) একটি মাত্র ডোজেই করোনায় (Corona) মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এমনই দাবি রয়েছে ফাইজারের টিকা নিয়েও। এই সংস্থা আরও দাবি করেছে ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৯৭ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইজারের (Pfizer-BioNTech) এক ডোজেও মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ কমে যায় আর দ্বিতীয় ডোজের পর তা ৯৭ শতাংশে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর মৃত্যুর আশংকা থাকে না বললেই চলে। তবে কোন প্রতিষেধক বেশি কার্যকর তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।