সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে। জখম কমপক্ষে আড়াইশো জন। তার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
পড়ুয়ারা জানায়, শুক্রবার সৈয়দপুর থেকে রাজশাহী আসেন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্র। বাসে তার সঙ্গে সুপারভাইজার অভব্য আচরণ করে বলে অভিযোগ। বাসে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পৌঁছন ওই শিক্ষার্থী। বাস সুপারভাইজারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় বিনোদপুরের এক স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে পড়ুয়ার বচসা হয়।
[আরও পড়ুন: এক রাতেই বিয়ে সারলেন বাংলাদেশের ১০০ হিন্দু, কেন এই ‘বিবাহ অভিযান’?]
অভিযোগ, বচসা চলাকালীন শুরু হয় মারধর। তার জেরে স্থানীয়দের সঙ্গে পড়ুয়াদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আগুন থানা সংলগ্ন বাজারেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ ফাঁড়িতে কারা আগুন দিয়েছে, তা এখন স্পষ্ট নয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশ টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট ছোঁড়ে। রাত ১২টা নাগাদ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষে জখম শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুশো’রও বেশি। তাদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।”